মনিরুল হক, কোচবিহার: শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের স্থায়ী দলীয় কার্যালয় হতে চলেছে কোচবিহারে। কোচবিহার শহরের রাসমেলা মাঠ লাগোয়া দেশবন্ধু মার্কেটের পাশে তৃণমূল কিষান ক্ষেত মজুর সংগঠনের কার্যালয় ভেঙ্গে ওই দলীয় কার্যালয় স্থাপন করছে তৃণমূল কংগ্রেসের তিন নেতা পরিমল বর্মণ, মীর হুমায়ুন কবীর এবং খোকন মিয়াঁ। আজ ওই দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
তিনি বলেন, “কোচবিহার শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন স্থায়ী দলীয় কার্যালয় এখনও পর্যন্ত নেই। তাই দলের তিন নেতা খোকন, পরিমল এবং মীর হুমায়ুন কবীরের উদ্যোগে তিন তলা একটি দলীয় কার্যালয় হতে চলেছে। রাসমেলার মাঠ সংলগ্ন দেশবন্ধু মার্কেটের পাশে দলের একটি পুরানো দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে ওই স্থায়ী পার্টি অফিস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে দলের পুরানো ও নতুন সকলে মিলে এখান থেকেই দলকে পরিচালনা করতে পারবে।”
কিষান ক্ষেত মজুর সংগঠনের কোচবিহার জেলা সভাপতি খোকন মিয়াঁ বলেন, “ওখানে আমাদের সংগঠনের একটি পুরানো কার্যালয় ছিল। সেটাকেই আমরা তিন তলা বিশিষ্ট একটি সম্পূর্ণ কার্যালয় করার উদ্যোগ নিয়েছি। মূল পার্টি ছাড়াও সমস্ত শাখা সংগঠনের জন্য এই পার্টি অফিসে একটি করে ঘর বরাদ্দ করা হবে। সকলে মিলে এখান থেকেই দল পরিচালনা করা হবে।”
রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জেলা সভাপতি থাকার সময় মা ভবানী চৌপথী এলাকার একটি ঘরকেই জেলা পার্টি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু পরবর্তীতে জেলা সভাপতি বদলের পর দলের জেলা কার্যালয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ জেলা সভাপতি হওয়ার পর পার্টি অফিস না থাকায় কোথা থেকে দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম করবেন, তা নিয়ে সমস্যায় পরেন। এরপর তিনি একটি বাড়ি ভারা নিয়ে সভাপতির কার্যালয় করার পাশাপাশি জেলায় একটি দলীয় কার্যালয় স্থাপন করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু সেই ঘোষণা বাস্তবায়ন করার আগেই তাঁকে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরে যেতে হয়। এরপর দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান পার্থ প্রতিম রায়। তিনি তাঁর গোলবাগান এলাকার বাড়ি থেকেই সংগঠনের কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
এবার নতুন করে কার্যালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন রবি অনুগামীরা ছাড়া দলের আর কেউ উপস্থিত না থাকায়, শেষ পর্যন্ত অন্যান্য নেতৃত্বরা সেখানে বসবেন কিনা, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।