নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বিধানসভায় অধিবেশন চলা কালীন বিজেপি বিধায়কের মারধরের ঘটনায় দফায় দফায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ বিজেপির। উল্লেখ্য গতকাল বিধানসভায় অধিবেশন চলা কালীন আচমকাই তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এরপরেই রণক্ষেত্র চেহারা নেই। যদিও তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূল বিধায়কের উপরে হামলা চালানো হয়। যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি, বিজেপি নেতৃত্বের দাবি আচমকাই বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল বিধায়ক রায় বিজেপি বিধায়কদের উপর হামলা চালায়। গত কালকের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে চলছে দফায় দফায় তৃণমূল ও বিজেপির উভয়ের প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি। মঙ্গলবার বেলা এগারোটা নাগাদ শান্তিপুর থানার সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। যদিও প্রায় এক ঘন্টা পর পরই রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আবারো শান্তিপুর থানার সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিজেপির বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, গতকাল বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন আমি উপস্থিত ছিলাম। যেভাবে তৃণমূল বিধায়ক রা আচমকা বিজেপির বিধায়কদের উপর হামলা চালিয়েছে তা খুবই নিন্দনীয়,যা ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কখনো ঘটেনি। যদিও এই প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। তিনি রামপুরহাটের বগটুই এর ঘটনায় স্লোগান দিতে থাকেন, জেনে গেছে জনতা খুন করেছে মমতা। এভাবেই শান্তিপুর থানার গেটের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।