আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সমস্ত পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে প্রশাসনের যে সকল কর্তাব্যক্তিরা তারা সবই কিন্তু দেখতে পান, শুনতেও পান দেশের সাধারণ আমজনতার অভিযোগ কিন্তু বর্তমানে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির সময়ে তারা সকলেই অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পুরস্কার পাওয়ার জন্য চোখ-কান বন্ধ রেখেছেন।
চলতি মাসে নয় দিনে আটবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গ্যাসের দামও ,
নিয়ম করে করে প্রায় প্রতিদিন পেট্রল,ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে দাম বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের, এমতাবস্থায় সংসার চালাতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে দেশের সাধারণ আমজনতার।
মহামারী করোনা শুধু দেশের অগণিত মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় নি , কেড়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান, বাতাসে কান পাতলেই আজও শোনা যায় সেইসব হতভাগ্য মানুষের করুণ আর্তনাদ। শুধু তাই নয়
করোনার দাপটে একদিকে কোটি কোটি ভারতবাসীর রোজকার কমেছে অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেট্রল, ডিজেল ও গ্যাস সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজীয় জিনিসপত্রের দাম। মরার উপর খাড়ার ঘা এর মত নেমে এসেছে আর একটি ভয়ঙ্কর সরকারি সিদ্ধান্ত আর এই সিদ্ধান্তের জন্য ১ লা এপ্রিল থেকে ৮০০ ধরনের জরুরী ঔষধের দাম ১০% উপরে দাম বাড়তে চলছে।
দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক চরম দুরবস্থার মধ্যেও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনদায়ী সমস্ত ওষুধের দাম যদি বাড়তে থাকে তাহলে মানুষের বেঁচে থাকাটাই এক ধরনের অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মত প্রকাশ করছেন দেশের কোটি কোটি সাধারণ আমজনতা এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা।