নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ২০১১ সালের আগে রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে চলছিলো বাম শাসন। অথচ শান্তিপুরে তখন উড়তো জাতীয় কংগ্রেসের তিরঙ্গা পতাকা। আর এর পেছনে যে নেতৃত্বদের অবদান আজও অবিস্মরনীয় তারমধ্যে স্যার অসমঞ্জ দে, বলরাম ঘোষ, কুমারেশ চক্রবর্তী পরবর্তীতে আব্দুল সালাম কারিকর অজয় দে অন্যতম।
২০১২ সালের আজকের দিন অর্থাৎ ৩১ শে মার্চ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরে এক এক করে পুরনো নেতৃত্ব সকলেই প্রয়াত হন। পৌরসভা হোক বা দল বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত শান্তিপুরের রাজনৈতিক যুগের অবসান হয়ে দায়িত্ব পান নতুন প্রজন্ম। কিন্তু তাদের মধ্যেই শান্তিপুরের মানুষ পূর্বসূরীদের আশীর্বাদ লক্ষ্য করেছেন তাই হয়তো এই বিপুল জয় আজ বলরাম ঘোষ এর দশম মৃত্যুবার্ষিকী স্মৃতিচারণায় এইরকমই নানান কথা উঠে আসলো নেতৃত্বর মুখ থেকে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সুব্রত ঘোষ, উপ পৌরপ্রধান কৌশিক প্রামানিক, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলর সদস্য সুরজিৎ দে। প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস ঘোষ, শাহজাহান শেখ, সুমিতা ইন্দ্র শান্তি ময় ইন্দ্র ভবানী হালদার। বর্তমান উৎপল সাহা, বুলা খাতুন কারিকর, বিন্দাবন প্রামাণিক প্রমূখ। স্মৃতিচারণা করলেন সে সময়ে একসাথে রাজনীতি করা স্বপন মঠ, তপন বিশ্বাস, সনৎ চক্রবর্তী, অশোক দাস, তরুণ ঘোষ প্রমুখ। স্বর্গীয় বলরাম ঘোষ এর কনিষ্ঠ পুত্র গোবিন্দ ঘোষ জানান পরিবারের অপর এক সদস্যের মৃত্যুর কারণে এ বছর রক্তদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তবে বস্ত্রদান এবং ওয়ার্ডের অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পরা বেশ কয়েকজনকে চিকিৎসার খরচ বাবদ কিছু অর্থ তুলে দেওয়া হয়।