উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসে গুরুতর অসুস্থ মাথাভাঙ্গার এক ছাত্রী।

0
291

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ আজ থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরীক্ষা। মাথাভাঙা মহাকুমার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাথাভাঙা শহরে ও মাথাভাঙ্গা হাই স্কুল মাথাভাঙ্গা গার্লস হাই স্কুল মাথাভাঙ্গা বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির মাথাভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আজ সকাল সকাল শুরু হয়েছে।
এই পরীক্ষা ঠিকঠাক চলছে কিনা তা পরিদর্শন করতে বিভিন্ন সেন্টারগুলোতে গেছেন কোচবিহার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন। তিনি বলেন ডি পি এস সি চেয়ারম্যান ছাড়াও আমাকে বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে তা খুঁজ খবর নেওয়া ইত্যাদি নানা বিষয়ে নজর রাখছি। মাথাভাঙ্গা হাই স্কুলে ১৮৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার মধ্যে একজন অসুস্থ ছাত্র রয়েছেন নাম অনিমেষ বর্মন। তার বাড়ি মাথাভাঙ্গা শহর সংলগ্ন বেলতলা এলাকায়। সবথেকে গুরুতর একজন অসুস্থ হয়েছেন মাথাভাঙ্গা গার্লস হাই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রী রেজিনা খাতুন তার বাড়ি মাথাভাঙ্গা শহর সংলগ্ন পশ্চিম ঘাটের বাড়ি এলাকায়। ১ ঘন্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর তার পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয় মাথা ঘোরে এবং বমি বমি ভাব দেখা দেয়। পেটের যন্ত্রণা এত টাই বেশি হয় তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে চিকিৎসককে বিদ্যালয় এ ডেকে আনতে হয়। চিকিৎসক এসে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঔষধ পত্র দেয়। তারপর ওই ছাত্রীটি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর কোন মত আবার পরীক্ষায় বসে আলাদা ঘরে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর রেজিনা খাতুন এর পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে থাকে। পেটে যন্ত্রণা ভীষণভাবে বাড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে রেজিনার বাবা এবং মা দুজনে তাকে নিতে আসে।
কিন্তু রেজিনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মাথাভাঙ্গা পুলিশের ট্রাফিক ওসি শাহ আলী ইমাম মিয়া তখন কর্তব্য রত অবস্থায় দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তখন বিদ্যালয়ে কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টর মিমি সিংহ তৎক্ষণাৎ ওই করুণ দৃশ্য দেখতে পান। মাথাভাঙ্গা থানার ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিকের নির্দেশে লেডি কনস্টেবল অর্পিতা বর্মন ওই ছাত্রীকে ধরে বিদ্যালয় থেকে বাবা-মার সঙ্গে রেজিনা কে রাস্তায় নিয়ে আসে।
তারপর মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশের ট্রাফিক ওসি শাহ আলী ইমাম তিনি তার নিজের গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ওই গাড়িতে রেজিনা কে মাথাভাঙ্গা মহাকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে যান। পুলিশের এই মানবিক মুখ এর আগে নির্বাচনে দেখা গেছিল কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আবারও নতুন করে মানে মুখ দেখা গেল মাথাভাঙা শহরে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হিতেন বর্মন বলেন, ‘মাথাভাঙ্গা গার্লস হাইস্কুলে রেজিনা খাতুন নামে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়েছে তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য ডাক্তার এসেছিল পরবর্তী সময়ে তাকে আবারও চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে পাশাপাশি মাথাভাঙ্গা হাই স্কুলের ছাত্র অনিমেষ বর্মন সে অসুস্থ অবস্থায় আলাদা ঘরে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। মাথাভাঙ্গা গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা চিদ কনা সাহা ও মাথাভাঙ্গা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চৈতন্য পদ্মার টেলিফোনে জানান, দুজন অসুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের পরীক্ষায় যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ সদাসর্বদা নজর রাখছে।’