সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং –উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে মাছ চাষের সুফল ফেরাতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আর তাই এই প্রকল্পের উপযুক্ত জায়গা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মাতলা নদী লাগোয়া ক্যানিং কে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকাকে এই মাছ চাষের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।পাশাপাশি গত ৩১ মার্চ থেকে ১৭ দিনে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও চলছে। শিবিরের এলাকার প্রায় ২০ জন মৎসজীবী রয়েছেন। সরকার উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কে মাছ চাষের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আর তার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে ক্যানিংয়ের ডাবু এলাকাকে। মঙ্গলবার বিকালে রাজ্য সরকারের এক প্রতিনিধিরা দল ডাবু এলাকা পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি মাছ চাষে কতটা উপযুক্ত তা ঘুরে খতিয়ে দেখেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বেশকিছু মাছ চাষের এলাকাকে এখানে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় বেকার যুবকদের কে মাছ চাষে উৎসাহ করে এই প্রকল্প কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মিলবে সমস্ত সাহায্য। আগামী দিনে মাছ উৎপাদনে ভারতবর্ষ কে এক নম্বরের স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত মৎস্য আধিকারিক সব্যসাচী ব্যানার্জি বলেন, আগামী দিনে এই এলাকা থেকে বিদেশে মাছ পাঠানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। শুধু তাই নয় মাছ উৎপাদনে ও যাতে আমরা প্রথম স্থান অধিকার করতে পারি সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এখানে বেশ বড় বড় পুকুর ও জলাশয় আছে যেগুলো মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগী হবে।
উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে সারা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন কুটির শিল্প ও মৎস্যচাষ পশুপালন সহ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে থাকে। যেহেতু সুন্দরবন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মাছ চাষের উপযোগী তাই এই এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে মাছ চাষের উৎকর্ষ বাংলা হিসাবে। ইতিমধ্যেই কুড়ি জন যুবককে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জেলার অতিরিক্ত মৎস্য আধিকারিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস,ক্যানিং ১ ব্লকের মৎস্য আধিকারীক অরুণ কুমার দেব,ক্যানিং ফিশ কালচার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফিশার ম্যান কো-অপারেটিভ সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর লক্ষ্মীনারায়ণ দাস,কৌশিক সিংহ, শুম্ভু নাথ দাস,বৈদ্য নাথ দাস সহ অন্যান্যরা। ।