শূকরছানা নিয়ে একাধিক দুর্নীতি এবং বিস্তর অভিযোগে সোচ্চার হলেন পুরাতন মালদা ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকায় আদিবাসি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

0
1876

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- আদিবাসী স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীগুলোকে সরকারিভাবে শুকর ছানা প্রতিপালনের জন্য দেওয়া হয়েছিল। আর সে শূকরছানা নিয়ে একাধিক দুর্নীতি এবং বিস্তর অভিযোগে সোচ্চার হলেন পুরাতন মালদা ব্লকের বেশ কয়েকটি এলাকায় আদিবাসি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ , অসুস্থ শূকরছানা বিলি করা হয়েছে । যার ফলে সেই শূকরছানা গুলির পরপর মৃত্যু হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থ তছরূপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদা ব্লক অফিসে এই অভিযোগ জানাতে আসলে আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিবাদী কিছু সদস্যদের ঘর বন্দী করে রাখা হয় বলে অভিযোগ । আর এই ঘটনার পিছনে ব্লক অফিসের একাংশ জড়িত রয়েছে বলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অভিযোগকারী সদস্যরা জানিয়েছেন । এদিন সকাল থেকে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ব্লক অফিস চত্বরে। পরে অবশ্য পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিক্ষোভকারী আদিবাসী স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর অনেক সদস্যরা জানিয়েছেন,  শূকর ছানার পরিবর্তে তারা তাদের ১২,৫০০ প্রাপ্য চেয়ে ছিলেন। কিন্তু ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে যেটা জানানো হয়েছে তাদের প্রতিপালনের জন্য শূকরছানা দেওয়া হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বনির্ভর মহিলাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় শুকর ছানা গুলি।

বিক্ষোভকারী আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অভিযোগ,  ১২,৫০০ টাকার পরিবর্তে ১,২০০ টাকার শুকর ছানা দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলো অসুস্থ। ঠিক ভাবে চলতে পারছে না। এমনকি কয়েকটি ছানা মারাও গেছে। এদিন ব্লক অফিস চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।

এদিকে, এদিন পুরাতন মালদা ব্লক অফিসের সামনে আদিবাসী মহিলারা বিক্ষোভে সামিল হলে, তাদেরকে তালাবন্ধ করে অফিসের ভেতরে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে এই তালা খুলতে গেলে ব্লক অফিসের স্টাফ এর সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

পুরাতন মালদার বিডিও ইরফান হাবিব জানিয়েছেন, লোক প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। যদি কোন অভিযোগ হয়ে থাকে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে।

পুরাতন মালদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণালিনী মন্ডল মাইতি জানিয়েছেন, আদিবাসী স্বনির্ভর গোষ্ঠী গুলির মধ্যে শূকরছানা বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হবে । পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের  কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরা হবে।