কংক্রিটের ঢালাই রাস্তায় ধস,বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াতের করতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

0
833

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বালি ভর্তি ভ্যান চলে যাওয়ার মুহূর্তে বড় ধরণের ধস নেমে ভেঙে পড়লো কংক্রিটের তৈরী ঢালাই রাস্তা।এমনকি ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে রাস্তাটি। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যাতায়াত। গ্রামবাসীদের প্রচেষ্টায় আবারও শুরু হয়েছে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত। আর তা না হলে ঘুর পথে প্রায় চার কিলোমিটার পথ বেশি অতিক্রম করতে হবে।ঘটনাস্থল ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতলা নদীর তীরে অবস্থিত দক্ষিণ রেদোখালি গ্রাম।এই গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটি বিগত কয়েক বছর আগে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা তৈরী হয়।এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষজন সহ ছোট ও মাঝারি ধরণের যানবাহন চলাচল করে। শনিবার দুপুরে আচমকা দক্ষিণ রেদোখালি গ্রামের সরদার পাড়ার কাছে রাস্তায় ধস নামে,ভেঙে চৌচির হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। পরে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে ইট বিছিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত শুরু হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বিগত দিনে আম্ফান ও ইয়াসের তান্ডবে মাতলা নদীর লবণাক্ত জলে প্লাবিত হয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। সেই সময় গ্রামের রাস্তার নীচে থেকে অধিকাংশ জায়গায় মাটি সরে গিয়েছিল। একপ্রকার প্রায় ভাসমান অবস্থায় ছিল রাস্তা।এদিন আচমকা সেই ভাসমান এলাকার রাস্তা দিয়ে বালি বোঝাই একটি ভ্যান যাওয়ার সময় হুড়মূড় করে ভেঙে পড়ে রাস্তা।যদিও বরাদ জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ভ্যান চালক।’
গ্রামবাসীদের দাবী এই একটি মাত্র যাতায়াতের পথ।বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাতের অন্ধকারে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।সাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকারী ভাগে উদ্যোগ নিয়ে রাস্তাটি মেরামত করে দিলে যাতায়াতের সুবিধা হবে।দুর্ঘটনার আশাঙ্কা থাকবে না’।
স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান খতিব সরদার জানিয়েছেন ’ঘটনার খবর পেয়েছি।যাতে করে রাস্তাটি দ্রুততার সাথে মেরামত করা যায় তার জন্য পঞ্চায়েতের তরফ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’