নদীয়ার শান্তিপুরে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি কাউন্সিলর এবং যুব সভাপতিকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগ উঠলো মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে।

0
390

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গতকাল রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ, শান্তিপুর 17 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সুবিনয় প্রামানিক আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর দীপঙ্কর সাহার বাড়ির পাশে স্বদেশ দাসের বাড়িতে তাঁতের শাড়ি পৌঁছাতে যাচ্ছিলেন পথে, কাউন্সিলরের পাশের বাড়ির তপন মাহাতো ডাক নাম লেটু মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। দুএক কথায় বচসা বাঁধলে, হঠাৎই মোটরসাইকেল থেকে নেবে যুব সভাপতি কে বেধড়ক মারতে থাকে মদ্যপ যুবক তপন মাহাতো। । ইতিমধ্যেই যুব সভাপতির বুকের পাজরে বিভৎসভাবে কামড়ে মাংস তুলে নেয়। চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসে কাউন্সিলর দিপঙ্কর সাহা
তাকেও বেধড়ক মারধর করে ওই যুবক, হাতে থাকা লোহার কোন অস্ত্র বের করে প্রাণে মারতে চেষ্টা করে। এরপর এলাকার মহিলারা প্রতিবাদ করলে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে। তৃণমূলের 17 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম পাল ঘটনা কারণ জানতে চাইলে তাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ সুবিনয় কে চিকিৎসার জন্য শান্তিপুরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে মদ্যপ যুবক তপন মাহাতো কে।
থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সুবিনয় প্রামানিক। কাউন্সিলর দীপঙ্কর সাহা বলেন, প্রশাসনের উপর আস্থা আছে কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। সুবিনয় প্রামানিক জানান, গতকাল তিনজনকেই প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিলো ওই দুষ্কৃতীর। অরিন্দম পাল বলেন, এর আগে একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও, ওই দুষ্কৃতীর বাবার কথা ভেবে কখনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি, তবে এবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এলাকার মহিলারা সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তাদের কথা অনুযায়ী ওই দুষ্কৃতীর এই এলাকায় বসবাসের ফলে শিশু এবং মহিলারা নিরাপদ নয়। শান্তিপুর থানার ওসি লাল্টু ঘোষ বিষয়টি নিজেই খতিয়ে দেখছেন।