সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে গ্রামের বাড়ির মধ্যে ঢুকে গোরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে চোর।ক্যানিং থানার অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক ভাবে এমন ঘটনা ঘটে চলায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।যার ফলে ঘুম উবে গিয়েছে গ্রামের মানুষের,দিন কাটছে আতঙ্কে।মঙ্গলবার রাতে গোরু চুরির ঘটনা ঘটলো ক্যানিং থানার অন্তর্গত দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কোড়াকাঠি গ্রামে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে গ্রামের বাসিন্দা সমীর মন্ডল। পেশায় তিনি কলের মিস্ত্রী।তাঁর দুটি গোরু ছিল। গোরু দুটি বাড়ি ভিতরে একটি গোয়ালঘরে বাঁধা ছিল।সোমবার রাতে পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সকালে ঘুম ভাঙলে নজরে পড়ে শূণ্য গোয়ালঘর।দুটি গোরু উধাও। শুরু হয় খোঁজ-খবর। পরে জানতে পারেন রাতের অন্ধকারে চোরেরা গোরু চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে।গোরু চুরির ঘটনায় কান্নায় সমীর বাবুর স্ত্রী ঝর্ণা মন্ডল।
সমীর মন্ডলের ভাই প্রবীর মন্ডল জানিয়েছেন ‘যেভাবে রাতের অন্ধকারে বাড়ি মধ্যে ঢুকে গোরু চুরির ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে তাতে করে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।রাতের অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসন একটু বাড়তি নজরদারী করলে এমন ঘটনা ঘটবে না।’
উল্লেখ্য বিগত দিনে ক্যানিং থানার গোপালপুর,নলিয়াখালি,হেড়োভাঙ্গা,দুমকি,কুমার শা,মিঠাখালি গ্রামে একাধিক বার গোরু চোরেরা রাতের অন্ধকারে গ্রামের মধ্যে হানা দিয়ে গোরু চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে।বিগত বছর কয়েক আগে গোপালপুর গ্রামে একজন গোরু চোর ধরা পড়ে।গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে বেধড়ক মারধর করায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় গোরু চোরের। পরবর্তী চলতি বছর ২ মার্চ গভীর রাতে ক্যানিং থানার পুলিশ নাকা চেকিং এর সময় একটি সন্দেহজনক গাড়ি কে ধাওয়া করে।গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ধারালো অস্ত্র,নাইলন দড়ি,খড় আর একটা জীবন্ত আস্ত গোরু। ঘটনা দুজনকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতদে বাড়ি মগরাহাট এলাকায়।
Leave a Reply