রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলমের বিরুদ্ধে ধর্নায় তৃণমূল।

0
219

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ– রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাক আলমের বিরুদ্ধে ধর্নায় তৃণমূল। তিনি বেআইনি ভাবে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের শহিদ মোড়ে ধর্নায় তৃণমূলের জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্ব, কর্মী সমর্থকরা। যদিও এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কংগ্রেস নেতা মোস্তাক আলম। তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের অভিযোগ, সম্পুর্ন বেআইনি ভাবে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মোস্তাক আলম।সরকারি খাস জমিতে প্রাসাদ তুল্য বাড়ি বানিয়েছেন। এমএলএ ফান্ডের টাকায় নিজের বাড়ির আশে-পাশে গার্ড ওয়াল দিয়েছেন। নিজের স্ত্রীর নামে স্কুল করেছেন এমএলএ ফান্ডের টাকায়। জনগণের টাকা লুঠ করে ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন।

পাশাপাশি জেলা তৃণমূলের আরও এক সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানের অভিযোগ আরও গুরুতর। তাঁর অভিযোগ, মোস্তাক আলম নিজে কিছু করেন। চাকরি, ব্যবসা কিছুই নয়। তাঁর স্ত্রী একজন আইসিডিএসের মামুলি সুপারভাইজার। সেই রোজগারে এত টাকা এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? মোস্তাক আলমের হরিশ্চন্দ্রপুর প্রাসাদ তুল্য বাড়ি ছাড়াও মালদা শহরে, কলকাতায় ফ্ল্যাট আছে। বিঘার পর বিঘা জমি আছে। বাগান আছে। কোথা থেকে এলো এত সম্পত্তি? এই বিষয়ে দ্রুত তদন্তের দাবি তুলে জেলা প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।সরকারি খাস জমিতে কীভাবে বাড়ি করেন সেই বিষয়ে বিএলআরওকেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।

তবে মোস্তাক আলম যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, যেহেতু ওই তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন, হাইকোর্টে মামলা করেছেন, সে কারণেই ওরা এই সব অপ্রচার চালাচ্ছে। তাঁর আরও বক্তব্য, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আয়কর দফতরে নথিবদ্ধ আছে। নির্দিষ্ট সময়ে আয়করও দি। গলদ থাকলে তো সেখানেই ধরা পড়ত। তবে, আজকের এই ধর্না মালদার রাজনৈতিক মহলে আলোরণ ফেলেছে।