নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকার হাঁসখালি পুরাতন শ্যামনগর এলাকার অশোক বিশ্বাসের মেয়ে ক্লাস নবম শ্রেনীর ছাত্রী । উল্লেখ্য জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নাবালিকা প্রেমিকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে, মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে। পরে মৃত্যু হয় নাবালিকার। বর্তমানে অভিযুক্ত প্রেমিক সোহেল গয়ালী ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক হলেও অবশেষে গ্রেফতার সোহেল। গত শনিবার রাতে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে হাঁসখালী থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও মৃত্যুর পর অভিযুক্তর পরিবারের চাপে ময়নাতদন্ত না করিয়ে তড়িঘড়ি দেহ শেষকৃত্য করে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত যুবকের বাবা গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। জানা গিয়েছে হাঁসখালির পুরাতন শ্যামনগর গ্রামের কৃষক পরিবারের বছর ১৪ নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর বছর ২০ ছেলে সোহেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ সোহেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাবে বলে বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপে বের হয় নাবালিকা। এরপর অপরিচিত এক মহিলা ওই দিন রাত প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ নাবালিকাকে বাড়িতে দিয়ে যায়। বাড়িতে আসার পর থেকে মেয়ে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা লক্ষ্য করেন তার মা। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার কাকভোরে মেয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে, মা স্থানীয় এক গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে ওষুধ আনতে যান। পরে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার আসেন পরিবারের সাথে ব্দেখা করতে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিধায়ক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।কর্মী সমর্থক ।