উপকরণ:- কচুরির জন্য :- সাদা ময়দা – ২৫০ গ্রাম ছাতু – ১০০ – ১৫০ গ্রাম (পুরটা বেশি দেবেন না কম তার ওপর পরিমাণটা নির্ভর করবে)। কাঁচালঙ্কা – ২টো ঘুনকুচি করে কাটা আদা – সামান্য ঐ ঘুনকুচি করে কাটা ভাজা মশলা – ১ চা চামচ ( ভাজা মশলা – জিরে, শুকনো লঙ্কা ভেজে গুঁড়োনো) সাদা তেল ও সামান্য ডালডা – কচুরি ভাজার জন্য নুন – স্বাদানুযায়ী চিনি – দু থেকে চারদান
আলুর তরকারির জন্য ;- আলু – দুটো ডুমো ডুমো করে কাটা (খোসা ছাড়ানো বা খোসাসুদ্ধ সেটা আপনার ইচ্ছানুযায়ী) পাঁচফোড়ন – আধ চা চামচেরও কম কাঁচালঙ্কা – ২টো চেরা টম্যাটো – কুচিয়ে কাটা একটা নুন, হলুদ স্বাদানুযায়ী সরষের তেল – দু টেবল চামচ আদা খোসা সুদ্ধ – খুব সামান্য।
প্রণালী:- কড়াই গরম করে সরষের তেল দিন। এবার তেলে পাঁচফোড়ন দিন। আলু আর কাঁচালঙ্কা চেরা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। নুন, হলুদ, টম্যটো কুচি দিয়ে দিন। একটু নাড়াচাড়া করে জল দিয়ে দিন। আলু গলতে সময় নেবে সেই ফাঁক চলুন অন্য কাজগুলো সেরে ফেলি। আসুন ময়দাটা মাখার আগে ছাতুটা মেখে ফেলি। ছাতুতে নুন, চিনি, কাঁচালঙ্কা কুচি , আদা কুচি , ভাজা মশলা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এবার জল দিয়ে মাখুন। ভালো করে মাখবেন। নরম বা শক্ত হবে না। মাঝামাঝি হবে। কারণ পুর দিতে গেলে বেরিয়ে না যায় সেটা মাথায় রাখবেন। মুখে দিয়ে দেখুন সব ঠিক আছে তো। রেখে দিন। দেখুন তো আলু গলে এসেছে মনে হয়। এবার খোসাসুদ্ধ আদাটা থেঁতো করে ফেলে দিন ওতে। নাড়াচাড় করুন যাতে গ্রেভিটা থকথকে হয়। নামিয়ে নিয়ে পারলে দুটো শালপাতা দিয়ে ঢেকে রাখুন। একদম দোকানের স্বাদ আর গন্ধ পাবেন। এবার আসুন ময়দাটা ময়ান আর অল্প নুন দিয়ে মেখে ফেলুন। লেচি করে নিয়ে এবার ছাতুর পুর পুরে দিন। আপনি যেমনটা পছন্দ করেন তেমনটাই করবেন। পুর দেবার সময় হাতে তেল মাখিয়ে নিন। যাতে লেচিগুলোতে যথেষ্ট তেল লেগে থাকে। পোরা শেষ। এবার কড়াইতে সাদা তেল আর ডালডা মিশিয়ে গরম হতে দিন। বেলে ফেলুন গোল গোল করে। ভেজে ফেলুন লালচে করে। রেডি আপনার ছাতুর কচুরি আর আলুর তরকারি। পরিবেশন করুন আত্মীয় -বন্ধুদের।