বারুইপুর মহিলা থানার সাফল্য; ভূয়ো অধ্যাপক গ্রেপ্তার, উদ্ধার অপহৃত ছাত্রী।

0
400

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং – কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে এক নাবালিকা ছাত্রীকে অপহরণ করে গা ঢাকা দিয়েছিল এক যুবক। বারুইপুর মহিলা পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে অপহৃত ওই নাবালিকা ছাত্রী। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভূয়ো অধ্যাপক কে।দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরের রামনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার এক মহিলা বারুইপুর মহিলা থানার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ জানান তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। কোন খারাপ উদ্দেশ্যে গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে তিনি তাঁর নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এক যুবকের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন। তিনি পুলিশকে জানান, ওই যুবকের নাম পলাশ প্রতিম বৈদ্য। পলাশ নিজেকে বেথুন কলেজের অধ্যাপক পরিচয় দিয়ে তাঁর কাছ থেকে মেয়ের পড়াশোনার জন্য টাকা আদায় করছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে কাউকে কিছু বললে খারাপ হবে বলেও হুমকি দেয় পলাশ প্রতিম। মহিলা মেয়ের কলেজে খোঁজ খবর করে জানতে পারেন মেয়ে বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার নাম করে বের হলেও গত ৪ মাস ধরে কলেজে যায় নি। এমনকি তিনি কলেজ থেকে একথাও জানতে পারেন বেথুন কলেজে পলাশ প্রতিম বৈদ্য নামের কোন অধ্যাপকই নেই। পলাশ সবই মিথ্যা বলেছে। এরপরেই মহিলা সোজা বারুইপুর মহিলা থানায় এসে পলাশ প্রতিমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতার রিজেন্ট পার্ক থানার আনন্দ পল্লী থেকে অপহৃত ওই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ভূয়ো অধ্যাপক পলাশ প্রতিম বৈদ্যকেও গ্রেপ্তার করে।