রাজ্য ও দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে উত্তর ২৪পরগণা জেলার স্বরূপনগর ব্লকের মেদিয়া গ্রামের দেবলীনা ভট্যাচার্য।

0
482

উত্তর ২৪পরগণা, মৃণাল বিশ্বাস:-  দেবলীনা ভট্যাচার্য। বয়স ১৭+ এবারে উচচ মাধ্যমিক দিচ্ছে। উত্তর ২৪পরগণা জেলার স্বরূপনগর ব্লকের মেদি য়া গ্রামে ওদের বাড়ী। আপনি চেনেন দেবলীনা কে? জানেন ওর লড়াই আর স্বপ্নের কথা?? খুব ছোট্ট বেলায় জাগৃহী ক্লাবের মাঠে ছেলেদের সাথে ফুটবল খেলা। বড় হচ্ছে মেয়ে , খেলা ও চলছে। পাড়ার সবাই ভেবেছিল বড় হলে আর খেলবে না, আর পাঁচটা মেয়ের মত জীবন চলবে। কোথায় কি, ঘুমের ঘোরে চিৎকার করে ওঠে এখনও গো ও ও ও ও ও ও ল। কখনো বা পাশে শুয়ে থাকা মা কে কষিয়ে লাথি। খেলার মাঠ যে! স্ট্রাইকার পজিশনে খেলতেই সাচ্ছন্দ বোধ করে। দলের প্রয়োজনে কখনো বা উইঙ্গার। প্রিয় খেলোয়ার এমব্যপে
প্রিয় দল আর্জেন্টিনা মোহনবাগান ক্লাবের সমর্থক দেবলীনা র সুনীল ছেত্রি র খেলা ভীষণ ভালো লাগে।

ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল খেলেছে, রাজ্যের বাইরে উড়িষ্যা, নেপাল , বিহারেও খেলে এসেছে দেবলীনা।
জেলা ফুটবল(Under 17) দলের অন্যতম স্ট্রাইকার দেবলীনা। কলকাতা লীগে সুরুচি সংঘের হয়ে খেলেছে।
ওর নিজের দল নদীয়া জেলার”গয়েশপুর স্পোর্টস ফুটবল একাডেমী” বনগাঁ- রানাঘাট-কল্যাণী এভাবে বাড়ি থেকে যাতায়াত এ ৬-৭ ঘণ্টা সময় লাগে। “কখনো থেকে যাই ওখানে “জানালো দেবলীনা।
প্রথমে আশকনগর পরে বর্তমান ক্লাবে যাই। বাইরের জগতের সাথে পরিচয় করায় এবং আমাকে সব সময়ই উৎসাহ দেয় শুভঙ্কর নট্ট(ভোলা দা) গ্রামে ভোলা দা, পার্থ দার খেলা ভীষণ ভালো লাগে। অশোকনগরে প্রথম কোচিং নেয়া তবে প্রথম দিকে “কিশোর সংঘে “কাজল দার কোচিং ভীষন কাজে লেগেছে । গোবরডাঙ্গার গোবিন্দ সাহা র কাছেও কোচিং নিয়েছি।

তিন ভাই বোন আর মা কে নিয়ে ওদের পরিবার। বাবা কে হারিয়েছে অকালেই। বেশ হিসেব করেই সংসার চালাতে হয় মাকে। তিন জনের লেখা পড়া তেই অনেক খরচ।
ফুটবল কোচিং এ যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ কম নয়! তবু স্বপ্ন দেখে দেবলীনা। রাজ্য ও দেশের হয়ে খেলার। আক্ষেপ করে জানালো “গোবরডাঙায় তেমন করে মেয়েরা ফুটবল খেলে না অথচ অশোকনগর বা বনগাঁ তে অন্য চিত্র, সবথেকে পুরুলিয়া জেলায় বেশী মেয়েদের মাঠে দেখা যায়।

খেলার জন্য লেখাপড়ায় তেমন সমস্যা হয় না আমার। মাঠ আর ফুটবল আমার প্রথম প্রেম। ওরা দুজনেই আমায় নিরন্তর খোঁজে, আমি ও” । দেবলীনা র স্বপ্ন সার্থক হোক।