নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার হাঁসখালিতে মৃত নির্যাতিতার বাড়িতে এসে পৌঁছালেন সেফ ডেমোক্রেসির সাত জনের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌঁছনোর পর প্রথমেই তাঁরা কথা বলেন নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে। এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। পাশাপাশি বর্তমানে এই রাজ্যে মধ্যযুগীয় অপশাসন চলছে বলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কার্যত কড়া ভাষায় তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন সেফ ডেমোক্রেসির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দিপালী ভট্টাচার্য। এছাড়াও এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তারা বলেও এইদিন সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও মৃত নাবালিকার অন্তোষ্টিক্রিয়া কর্মের জন্য স্থানীয় ক্ষৌরকার ও পুরোহিতদের ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যার ফলে মৃত নাবালিকার অন্তষ্টি ক্রিয়াকর্ম করতে তার পরিবারকে সহযোগিতা করছেন না কোন ক্ষৌরকার ও পুরোহিত বলেও এইদিন অভিযোগ করেন সেফ ডেমোক্রেসির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দিপালী ভট্টাচার্য। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উক্তি প্রসঙ্গে সরাসরি তিনি কড়া ভাষায় সমালোচনা করতেও দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়ে কিভাবে এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক ও অমানবিক উক্তি করতে পারেন যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এবং একজন মহিলা হিসেবে এই ধরনের গর্হিত ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না বলে এই দিন আক্ষেপ করেন তিনি। পাশাপাশি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস কে নিশানা করে মধ্যযুগীয় অন্ধকার নেমে এসেছে এই রাজ্যে বলেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন দিপালী দেবী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উক্তি অনুযায়ী নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরে ফেলার অধিকার কি আছে যুবসমাজের ? তবে কোন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজছ একজন মহিলা হয়ে এই ভাষা প্রয়োগ করতে পারেন, যা ভীষণভাবে অগণতান্ত্রিক ও অমানবিক। তবে আইনত ভাবে যেকোনো পরিস্থিতিতেই তারা নির্যাতিতা মৃত নাবালিকার পরিবারের পাশে থাকবেন বলে এই দিন আশ্বাস দেন তিনি।