তৃণ্ময় বেরা, ঝাড়গ্রাম: শুক্রবার বাংলা নববর্ষের দিনেই সুবর্ণ রৈখিক ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক ফেসবুক গ্রুপ আমারকার ভাষা আমারকার গর্ব-এর উদ্যোগে সুবর্ণ রৈখিক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হলো ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনীতে। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি প্রভাতফেরী অনুষ্ঠিত হয় রণপা ও ব্যান্ড সহযোগে। প্রভাতফেরীর পরে জাতীয় পতাকা ও সংশ্লিষ্ট গ্রুপের পতাকা উত্তোলন করা হয়। রোহিনীতে সাঁকরাইল ব্লক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে। গ্রুপের পরিচালক মন্ডলীর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বজিৎ পাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিশিষ্ট লোক সংস্কৃতি গবেষক ড.মধুপ দে,আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক নলিনী বেরা, সাঁকরাইলের বিডিও রথীন বিশ্বাস,খড়্গপুর আই আই টির অধ্যাপক ড.ভানুভূষণ খাটুয়া, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ কৃষ্ণপদ প্রধান,সুবর্ণরেখা কলেজের অধ্যাপক ড.লক্ষ্মীন্দর পালোই, প্রাক্তন শিক্ষক ও কবি উপেন্দ্রনাথ পাত্র, রোহিনী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ ঘোষসহ সুবর্নরেখিক ভাষার বহু কবি সাহিত্যিক বৃন্দ ও অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড.মধুপ দে।সুবনভূমি ব্যান্ড উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন।দিনভর সুবর্ণ রৈখিক ভাষায় আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য , নাটিকা পরিবেশিত হয়। পাশাপাশি এই ভাষা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন উপস্থিত গুণীজনরা। এদিন চারটি পুস্তক প্রকাশ হয়। প্রকাশিত হলো কবি খগেন জানার লেখা “বাসি হিনে মিঠা” কবি বঙ্কিমচন্দ্র পালের লেখ “পুন্না কালের পাসরা কথা”, সাহিত্যিক প্রভাস নায়েকের লেখা গল্প সংকলন “সুবর্ণডিঙা”,কবি অনিমেষ সিংহের লেখা “কলেজের কৃষ্ণচূড়া” পুস্তকগুলি। অনিমেষ সিংহ তাঁর বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব এই গ্রুপের হাতে তুলে দিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনকে সম্মানিত করা হয়।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রদীপ মাইতি, সৈকত আলি সা, সুদীপ কুমার খাঁড়া,ডাঃ শুভব্রত পালোই প্রমুখ। সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। বাংলা,ঝাড়খন্ড, ওড়িশার সুবর্ণ রৈখিক ভাষাভাষী এলাকার এবং তার বাইরের তিন শতাধিক ব্যক্তি। রোহিনী মিলনী সংঘের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়।