বছরের শেষ দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে গোটা আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

0
336

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- বছরের শেষ দিনে কালবৈশাখী ঝড়ে গোটা আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফালাকাটা ব্লকের দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।এদিন ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় দক্ষিণ দেওগাঁয়ের ঘর বাড়ি, গাছ পালা সহ বিভিন্ন ফসল। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাজাম্মেল হকের শোবার ও রান্না ঘর।অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় তোজাম্মেল হকের বড় ছেলে তহিদুল হক। গাছ উপড়ে পড়ে শোবার ঘরে থাকা বিছানা সহ আসবাব পত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়।অন্যদিকে একই গ্রামের ঝড়ে শোবার ঘরের টিন উড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আলাউদ্দিন মিয়া নামে এক ব্যক্তি। তাঁর একমাত্র শোবার ঘরটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি।এদিন আলাউদ্দিন মিয়া জানান, তিনি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, ঝড়ে শোবার ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দিশেহারা তিনি।সরকারি সহযোগিতা চেয়ে কাতর আবেদন করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্থ তাজাম্মেল হক জানান, ঝড়ে গাছ উপড়ে পরে তাঁর দুটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।পেশায় ভ্যানচালক তাজাম্মেল সরকারি সহযোগিতার আবেদন জানান।এছাড়াও এদিন ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আইনুল হকের নব নির্মিত পাকা ঘর, এবং বলরাম দেবনাথের রান্না ঘর। এলাকায় ঝড়ে গাছ পালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ হীন হয়ে পড়েছে বলে খবর। শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শনে যান ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মন।এলাকা পরিদর্শন করে এদিন ক্ষতিগ্রস্থদের একটি করে ত্রিপল দিয়ে সাময়িক সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনার আশ্বাস দেন।তবে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন দেওগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ।