সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ,জখম বাবা ও ছেলে।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে গুরুতর জখম হলেন বাবা ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার গভীর রাতে বাসন্তী থানার অন্তর্গত মসজিদবাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মোকামবেড়িয়া গ্রামে।ইতিমধ্যে বাবা ও ছেলে বাসন্তী থানায় অভিযুক্ত চার জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে দক্ষিণ মোকামবেড়িয়া গ্রামের ঘরামী পরিবার।১৮ কাঠা পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ প্রায় দুবছর ধরে শরিকী বিবাদ চলছিল।সন্ন্যাসী,মন্মথ্থ,কালিপদ ও অঞ্জনা ঘরামীরা ১৩ কাঠা ও দীনেশ ঘরামীর পরিবার ৫ কাঠা সম্পত্তি ভোগদখল করছিল।অভিযোগ ১৮ কাঠা সম্পত্তি সব নিজেদের কব্জায় আনার জন্য চেষ্টা করছিল সন্নাসী ঘরামীরা।
শনিবার রাতে দীনেশ ঘরামীর পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি গোষ্ঠ মেলা যাত্রাগান শুনতে গিয়েছিলেন।রাতে তিনি ও তাঁর ছেলে হৃদয় ঘরামী ঘুমিয়ে ছিলেন বাড়িতে। অভিযোগ গভীর রাতে সন্ন্যাসী ঘরামীরা লাঠি,লোহার রড নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে দীনেশ ঘরামীকে। বাবা কে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করছে দেখে ছেলে ঘুম চোখে দৌড়ে আসে উদ্ধার করতে। তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।ঘরের মেঝেতে পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাৎরাচ্ছিলেন বাবা ও ছেলে।তাদের চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে দৌড়ে আসেন। রাতের অন্ধকারে বাবা ও ছেলে কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বাবা ও ছেলের চিকিৎসা চলছে।রবিবার দুপুরে বাবা ও ছেলে সন্ন্যাসী ,মন্মথ্থ,কালিপদ ও অঞ্জনা ঘরামীদের নামে বাসন্তী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাসন্তী থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্তদের কে এখনও অবধি আটক কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি।অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *