মনিরুল হক, কোচবিহারঃ কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন মানুষ বলে জানা গিয়েছে। রবিবার কোচবিহার ১ ও ২ নম্বর ব্লক, ঘুঘুমারী শুটকাবাড়ি, মোয়ামারি সহ বিভিন্ন এলাকায় ওই ঝড়ের তান্ডবে একেবারে সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোচবিহার ১ ব্লকের মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আঠারোকোঠা গ্রামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর জাহাঙ্গির আলমের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ঘরে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এদিকে ওই ব্লকেই ঘুঘুমারির পালপাড়া এলাকায় দেবদাস পাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তি ঘরে ছিলেন। সেই সময় হুড়মুড়িয়ে একটা গাছ তাঁর বাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। সেখানে চাপা পরে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, কোচবিহার ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় কার্যত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ঝড়। বহু গাছ ভেঙে গিয়েছে। রাস্তার উপর বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। একেবারে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। এদিকে ঝড়ের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না অনেকেই। আতঙ্কে অনেকেই ছোটাছুটি শুরু করেন। গাছ ভেঙে পড়ায় বহুজন জখম হয়েছেন। অনেকেরই টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। এর সঙ্গেই শিলাবৃষ্টির জেরেও ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিন কোচবিহার শহরের ঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় যান কোচবিহার পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘মাত্র ২০ মিনিটের ঝড়ে বাড়ি-ঘর, স্কুল ভেঙে পড়েছে। বড়-বড় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে। ঘুঘুমারি, শুঁটকাবাড়ি, বড় সোলমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর নদীর ধারের ঘরগুলি একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে ওই এলাকার বহু মানুষ। ঘর ভেঙে পড়ে বা গাছ ভেঙে পড়ে মহিলা, পুরুষ, শিশু সহ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। প্রায় ৫০টি অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁদের কোচবিহার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলাশাসক গোটা বিষয়টি মনিটরিং করছেন। বিডিও-রা ঘটনাস্থলে এসেছেন। গৃহহারাদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করতে কিছু ত্রিপল কাল রাতেই দেওয়া হয়েছে। আরও ত্রিপল আর খাদ্যসামগ্রী আজ দেওয়া হবে।’