ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে খাবার ও ত্রিপাল বিলি করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

0
344

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে ভিটে-মাটি হারা মানুষদের মধ্যে খাবার ও ত্রিপাল বিলি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন তিনি সুটকাবারি-মোয়ামারি অঞ্চলে গিয়ে ঝড় বিধ্বস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন। এছাড়াও কোচবিহার-১ নং ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি এবং মৃতদের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গতকাল রাতেও ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। এরপর আজ সকালে আবারও তিনি ওই অঞ্চলে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন।
প্রসঙ্গত, বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আহত হয়েছে বহু মানুষ। রবিবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি সহ ঝড় শুরু হয়। গতকাল সন্ধ্যায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারি সুক্টাবাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকার উপর দিয়ে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যায়। কোচবিহার-১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। কোচবিহার শহর, কোচবিহার-২ ব্লক, মাথাভাঙা ২ ব্লকেও ধ্বংসলীলা চালায় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের দাপট এতটাই ছিল কোচবিহার-১ ব্লকের মোয়ামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় আঠারোকোটা গ্রামে জাহাঙ্গির আলম (১৬) ও ঘুঘুমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পালপাড়া এলাকায় দেবদাস পাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঘরের ওপর গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে প্রায় ১০০০বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছে। মাথাভাঙা ২ ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি সহ ঝড় হয়। রুইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘোকসাডাঙ্গা , লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারিকামারি, পুটিমারি এলাকায় বিশালাকারের শিলা পড়তে দেখা যায়। প্রচুর বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, টিনের চালা কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায়। কৃষিজ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।