দশম শ্রেণী পর্যন্ত, হিন্দি পড়া বাধ্যতামূলক,;ঘটনায় ক্ষুব্ধ নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।

    0
    321

    তাতে সাফ বক্তব্য, এই প্রতিকূল নীতি প্রত্যাহার করা হোক। হিন্দি নয়, বরং আদিবাসী ভাষাগুলোকেই দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করা দরকার। হিন্দিকে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবেই রাখতে হবে। নইলে সংস্কৃতি ও শিক্ষায় অসঙ্গতি দেখা দেবে। আদিবাসী ভাষার জন্য এটি ক্ষতিকর।
    মঙ্গলবার, পার্লামেন্টের একটি বৈঠকেই অমিত শাহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে হিন্দি বিষয় পড়ানোর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানান। যথারীতি ঘটনায় স্তম্ভিত সেই রাজ্যের মানুষজন, বিশেষ করে ছাত্রসমাজ। Neso এর বক্তব্য, দেশের ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষ হিন্দি বললেও বাকি জায়গায় নিজেদের মাতৃভাষা শ্রেষ্ঠ। তারা নিজস্ব দিক থেকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং একারণেই ভারত বৈচিত্র্যময় তথা বহুভাষিক একটি দেশ। উত্তর পূর্বের দেশগুলির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে যার বিস্তার অনেক দূর পর্যন্ত। হঠাত্‍ করেই এই অঞ্চলে হিন্দি ভাষার সংযোগ শুধুই যে আদিবাসী ভাষার ক্ষতি এমনটাই নয়, বরং ছাত্রছাত্রীদের নতুন করে অন্যধরনের চাপের মধ্যে ফেলে দেওয়ার স্বরূপ!
    Neso বিরোধিতা বজায় রাখবে, তাদের বক্তব্য এই ধরনের সিদ্ধান্ত কোনওরকম ঐক্য সৃষ্টি করে না বরং উদ্বেগ এবং অসামঞ্জস্য ঘটনার বাহক। আদিবাসী ভাষার অগ্রগতি এবং উন্নয়ন দরকার, সেইদিকে নজর দিলেই ভাল।

    উল্লেখ্য, হিন্দি ভাষা পড়তেই হবে! উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে এমন বার্তাই দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। দশম শ্রেণী পর্যন্ত, হিন্দি পড়া বাধ্যতামূলক। ঘটনায় ক্ষুব্ধ নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা, রীতিমতো বিরোধিতা করছেন তারা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যেই একটি চিঠি পৌঁছান NESO এর সদস্যরা।

    ছবি: প্রতীকী।