তৃণমূল নেতা ও পুলিশের মদতে বিহারের মাটি মাফিয়ারা নদীর চর থেকে মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে।

0
351

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- কথায় আছে নদীর তীরে বাস বিপদ বারোমাস! তৃণমূল নেতা ও পুলিশের মদতে বিহারের মাটি মাফিয়ারা নদীর চর থেকে মাটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে।যেভাবে মাটি-বালি চুরি হচ্ছে তাতে বর্ষায় ফের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।উল্লেখ্য,কয়েকদিন আগেই মাটি মাফিয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। দলীয় কর্মীদের এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ও।পুলিশের মদতে এই কাজ চলছে বলে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি ।

হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর-বিহার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর ভাকুরিয়া অঞ্চল সংলগ্ন ফুলাহার নদী থেকে মাটি-বালি চুরি হচ্ছে।এতে মদত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো ফল মিলছে না।এই পরিস্থিতিতে আগামী বর্ষায় ফের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।স্থানীয় বাসিন্দা অনুজ মণ্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন,“বিহারের লোক এসে উত্তর ভাকুরিয়া সংলগ্ন নদী তীর থেকে মাটি চুরি করে বিহারে নিয়ে গিয়ে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে।প্রতিবছর বন্যার জল নামার পর থেকেই বিহারের মাটি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে ওঠে।প্রতিদিন এই ঘটনা চোখের সামনে দেখেও আমরা কিছু করতে পারি না।কারণ,পঞ্চায়েত প্রধান,পঞ্চায়েত সদস্যরা মিলিতভাবে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।পুলিশেরও কিছু কমিশন আছে।প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে । এভাবে মাটি চুরির ফলে প্রতিবছর বন্যা-ভাঙন হচ্ছে ।

আরো এক বাসিন্দা বীরেন মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন,“যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে তাতে ফের বন্যা হবে।আমরা আবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হব । পুলিশকে জানালে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার আসছে।ওদের সামনে মাটি কাটা চলছে।এমনকি পঞ্চায়েত সদস্যর সামনে মাটি কাটা চলছে।পুলিশ যদি কমিশন না নেয় তবে কি কেউ পুলিশের সামনে মাটি কাটতে পারে?” একই অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাসুমা বিবির স্বামী আবুল কালাম আজাদ বলেন,“মাটি চুরি হচ্ছে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না । যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তবে আমরা প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ করব । যদি দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গ্রামের লোক অভিযোগ করতেই পারে । কিন্তু বিষয়টাই আমাদের জানা ছিল না ।

হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি হজরত আলি এপ্রসঙ্গে বলেন, “বাংলা থেকে মাটি বিহারে পাচার হবে এটা আমরা বরদাস্ত করব না । যদি পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্যরা এই কাজে জড়িত থাকেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।