বীরভূম, সেখ ওলি মহম্মদঃ- গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে মানুষের অবস্থা খারাপ। এই সময় খুব বেশী দরকার সেটা হল জল। কিন্তু জলই যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সাধারণ মানুষ না পাই তাহলে তো অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে। এমনই চিত্র ধরা পড়ল বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ায়। এখানে বিগত চার বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছে সাধারন মানুষ। তার জন্যই আজ এলাকায় বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে বার বার বলার পরও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ করেন বাসেদা বিবি, সামিদা বিবি, চাঁদনেহারা বিবি, মানোয়ারা বিবিরা। পাশাপাশি পৌরসভা গিয়েও জানানো হয়েছিল বা পথ অবরোধ করা হয়েছে তবুও জলের সমস্যা মেটেনি। এমনকী পৌরসভা গেলে শুধু মেলে আশ্বাস। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় না। আমরা এই পাড়া থেকে ৭০০-৮০০ মিটার দূরত্বে অন্য পাড়ায় গিয়ে জল আনতে যায়। কিন্তু সেই পাড়াতেও জল নিতে বাধা দেন ঐ এলাকার মানুষেরা। তাই যথা শীঘ্রই জ্লের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক পৌরসভার পক্ষ থেকে। নাহলে আমরা সিউড়ি সদর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হব। এই বিষয়ে দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পাণ্ডে জানান, ঐ ওয়ার্ডের একটু জলের সমস্যা রয়েছে। পাইপ লাইনের ভাল্ব বিকল হয়ে যাওয়ার জন্য এটা হয়েছে। ঠিক হয়ে গেলে আমরা তাড়াতাড়ি জ্লের সমস্যা মিটিয়ে দেব। তাছাড়াও জল নিয়ে কিছু লোক রাজনীতি করছে। ঐ ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সেখ নাজির উদ্দিন জানান, গ্রীষ্মের সময় একটু জল পেতে কস্ট হয় এই ওয়ার্ডে। আমি এই বিষয়ে পৌর প্রধানের সাথে কথা বলেছি। শীঘ্রই জলের ব্যবস্থা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাছাড়াও জল না পাওয়ার একটাই কারণ সেটা হল এক শ্রেনীর অসাধু ব্যক্তি মোটর লাগিয়ে সমস্ত জল বাড়িতে টেনে নিচ্ছে। তার জন্য আমরা অভিযান চালাব পৌরসভার পক্ষ থেকে। যদি কারোর বাড়িতে মোটর পাওয়া যায় তাহলে তার কানেকশান কেটে দেওয়া হবে এবং তাঁকে আর কোনদিন জলের কানেকশান দেওয়া হবে না। তার জন্য আগে থেকেই তিনি সেই সমস্ত অসাধু ব্যক্তিদের সাবধান করে দিলেন।