একদিকে প্রচন্ড গরম, অপরদিকে জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনা জঙ্গল ছেড়ে ঝাড়গ্রামের শালবনির লোকালয়ে দাঁতাল হাতি।

0
411

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম:-  প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা ছিল 43 ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ।যার ফলে ঝাড়্গ্রাম জেলা জুড়ে গরমে নাজেহাল অবস্থার মধ্যে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে গরমের জন্য জঙ্গলে থাকা হাতির দল জঙ্গলে থাকতে পারছে না। প্রচণ্ড গরমের ফলে জঙ্গলে থাকা হাতির দল খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে হাতির দল জঙ্গলে কাবু হয়ে পড়েছে। ঠিক সেইসময় এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ জঙ্গল ধ্বংস করার জন্য জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহর সংলগ্ন ঝাড়গ্রাম জেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের কলাবনি এলাকার জঙ্গলে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। একদিকে গরমের দাপট অপরদিকে আগুন লাগানোর ঘটনায় জঙ্গল থেকে হাতি রাজ্য সড়ক দিয়ে গড় শালবনির লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। হাতির পাশাপাশি ওই জঙ্গলে থাকা বিভিন্ন জীবজন্তু লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। যার ফলে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড় শালবনি সহ পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলির বাসিন্দারা। যেভাবে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে তাতে ওই জঙ্গলের ভিতরে হাতির দল আর থাকতে পারছে না ।তাই নিজেদের রক্ষা করার জন্য প্রকাশ্য দিবালোকে কলাবনির জঙ্গল থেকে রাজ্য সড়ক দিয়ে গড় শালবনি গ্রামে ঢুকে পড়ে। যার ফলে ওই গ্রামজুড়ে হাতির হামলার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।তবে গ্রামে ঢুকে হাতির দল গ্রামবাসীর তেমন কিছু ক্ষতি করেনি ।মঙ্গলবার যেন মনে হয় অতিথি হিসেবে গ্রামে ঢুকে পড়েছে ওই হাতি গুলি ।তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন দফতরের কর্মীরা হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করেছে । তবে কারা কি কারণে ওই জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য বন দফতরের পক্ষ থেকে তদন্তের কাজ শুরু করা হয়েছে। বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে যারা অসৎ উদ্দেশ্যে জঙ্গল নষ্ট করার জন্য এই জঙ্গলে আগুন লাগিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতি বছর এই সময় প্রায় জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয় এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ । যার ফলে জঙ্গলে থাকা গাছ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং কিছু শাল গাছ সেই ফাঁকে দুষ্কৃতীরা কেটে নিয়ে চলে যায় ।তাই কোন উদ্দেশ্যে কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে হাতির দল জঙ্গলে আর থাকতে পারছে না তা মঙ্গলবার জঙ্গল থেকে যেভাবে লোকালয় ঢুকছে তা দেখে বোঝা যায়।