সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – ধারাবাহিক ভাবে চলছে তাপপ্রবাহ।মাঝে মধ্যে মেঘলা আকাশ থাকলেও এক ফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই।খালবিল,পুকুর, মাঠ-ঘাট ফুটিফাটা।প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ।এক ফোটা জলের জন্য হাহাকার।তেষ্টায় গলা ভেজাতে জেরবার সাধারণ মানুষ।ক্যানিং সহ সমগ্র সুন্দরবন এলাকায় এমন চিত্র প্রতিদিনই পরিলক্ষিত।গরমে পথ চলিত সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে ক্যানিংয়ের দীপু দাস,জয়ন্ত ঘোড়ুই,সমীর হালদার সহ বেশ কিছু যুবক এগিয়ে এলেন।রীতিমতো কয়েক হাজার বিশুদ্ধ পানীয় জলের বোতল নিয়ে কাঠফাটা রৌদ্রের তেজ উপেক্ষা করে রাজপথে খুলে বসলেন জলসত্র।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল মোড়ে জলসত্র খুলে সাধারণ মানুষের পিপাসা মেটানোর জন্য তাদের হাতে তুলে দিলেন পানীয় জলের বোতল, বাতাসা ও কাঁচা ছোলা।যুবকদের এমন কর্মযঞ্জ নজর এড়ায়নি ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক পরেশরাম দাস এর।নজর এড়ায়নি কর্তব্যরত ক্যানিং ট্রাফিক ওসি দেবপ্রসাদ সরদারেরও।তাঁরা যুবকদের এমন উদ্যোগ কে বাহবা জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন।রাজপথে দাঁড়িয়ে সাধারণ পথযাত্রীদের হাতে তাঁরাও তুলে দিলেন পানীয় জলের বোতল।
জলের বোতল তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বিধায়ক পরেশরাম দাস সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সচেতনতার বার্তা দিয়ে বলেন ‘প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষ জল কষ্টে ভুগছেন।বিশ্ব উষ্ণায়ণে ফলে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর অনেকাংশ নীচে নেমে গিয়েছে।আগামী দিনে জলের অভাব আরো প্রকট ভাবে দেখা দেবে।ফলে প্রয়োজন ছাড়া জল অপচয় করবেন না।পাশাপাশি বিশ্ব উষ্ণায়ণের করালগ্রাস থেকে ধরিত্রী কে বাঁচানোর জন্য লাগাতর বৃক্ষরোপন করুন। তাহলে আমরা বিশ্ব উষ্ণায়ণ থেকে আমাদের কে রক্ষা করতে সক্ষম হবো এবং পানীয় জলের সংকট দূর করা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে দীপু দাস,জয়ন্ত ঘোড়ুই,সমীর হালদার’রা জানিয়েছেন ‘চাঁদিফাটা রোদে রাজপথে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষের তেষ্টা মেটানোর জন্য আমাদের এমন পানীয় জল বিতরণ কর্মসূচি লাগাতর চলবে।’
প্রখর বৌদ্রে তেষ্টা মেটানের জন্য আচমকা হাতের নাগালে পানীয় জল পেয়ে যুবকদের এমন কর্মসূচি কে বাহবা জানিয়েছে সাধারণ পথচারীরা।