টিকিট পরীক্ষকের ঘরে ঢুকে পড়লো কেউটে।

0
406

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – ঘড়ির কাঁটা তখন সকাল পাঁচটার ঘরে।ক্যানিং ষ্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে সবেমাত্র ডাউন ট্রেন এসে থেমেছে।সাধারণ যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমেই দ্রতগতিতে যে যার গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।জনা চারেক টিকিট পরীক্ষক ষ্টেশনে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করছেন । ইতিমধ্যে দুজন যাত্রীর কাছে বৈধ টিকিট না থাকায়, তারা টিকিট দেখাতে পারেননি।অগত্যা টিকিট পরীক্ষক অবৈধ ভাবে ভ্রমণ করা দুই রেলযাত্রী কে ধরে নিয়ে জরিমানা করার জন্য ষ্টেশনের অফিস ঘরে নিয়ে যায়।ঘরের দরজায় পা রাখতে চক্ষু ছানাবড়া টিকিট পরীক্ষকের।ভয়ে আঁতকে ওঠেন।সেই সুযোগে টিকিটহীন দুই যাত্রীও পরাগপার।সাপ সাপ বলে টিকিট পরীক্ষকরা চিৎকার শুরু করেদেন স্টেশন চত্বরে।সাপের কথা শুনে ভয়েই ষ্টেশন চত্বরে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন সাধারণ যাত্রীরা।পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য দৌড়ে আসেন রেল সুরক্ষা বাহিনীর কর্মীরাও।ইতিমধ্যে কয়েকজন সাপটি কে মেরে ফেলার জন্য উদ্যত হয়। তবে সেটা হয়ে ওঠেনি ষ্টেশনের এক হকারের সৌজন্যে।চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ষ্টেশনের হকার সিকান্দর সাহানী ষ্টেশনের কাছেই দৌড়ে যায় সাপ নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার অফিসে।ডেকে আনেন সাপ যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কাবিল জমাদার,প্রবীর ঘোষ ও কৃষ্ণ সাহা কে। তারা তড়িঘড়ি হাজীর হয়ে টিকিট পরীক্ষকের ঘর থেকে বিষধর কেউটে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন টিকিট পরীক্ষ থেকে শুরু করে সাধারণ নিত্যরেল যাত্রীরা।
ষ্টেশনের হকার সিকান্দর সাহানী,নিরাঞ্জন সাহাদের দাবী ‘এর আগেও কয়েকবার ষ্টেশন চত্বরে বিষধর সাপ দেখা গিয়েছিল।ষ্টেশন চত্বরের আশেপাশে নোংরা আবর্জনা থাকায় বিষধর সাপের আনাগোনা বেড়েছে।