নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা :- শতাব্দী প্রাচীন লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির এর পুনর্নির্মাণ। মালদা শহরের নেতাজি মোড় এলাকায় ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সহযোগিতায় মালদা ইসকন এর উদ্যোগে লক্ষীনারায়ন মন্দিরের পুনর্নির্মাণ করা হয়।
শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ, মন্দিরে শুরু হয় পূজার্চনা। প্রতিষ্ঠা করা হয় লক্ষীনারায়ন বিগ্রহ। মায়াপুর ইসকনের ভক্ত এবং বিদেশ থেকে বহু ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন লক্ষীনারায়ন মন্দিরে। এদিন সকাল থেকে নাম সংকীর্তন এর মাধ্যমে শুরু হয় পূজার্চনা। শনিবার ইংরেজবাজার থানার রামকেলি এলাকায় ইসকন মন্দিরের ভূমি পূজা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, বহুদিন আগে মাদ্রাজের সেবায়েত লক্ষীনারায়ন মন্দিরে পূজা করতেন। তারা চলে যাবার পর অবহেলায় পড়ে ছিল লক্ষী নারায়ন মন্দিরটি। মন্দির লাগোয়া তার বাড়ি। ফলে খুব ছোট থেকে মন্দিরে যাওয়া আসা ছিল তাদের। অনান্য ভক্তদের পাশাপাশি তারাও মন্দির সংস্কার এবং যাতে বিগ্রহের পূজার্চনা হয় সেই কারণে ২০০৫ সালে ইসকনের হাতে মন্দির এর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছিল মন্দিরটি। এরপর ইসকন এর উদ্যোগে এই মন্দিরটি পুননির্মাণ করা হয় সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয় মন্দির ও নাটমন্দির।
তিনি বলেন, আজ থেকে প্রায় ৫১০ বছর আগে গুপ্ত বৃন্দাবন রামকেলিতে পায়ে হেঁটে এসেছিলেন সনাতন ধর্মের প্রবর্তক শ্রী চৈতন্যদেব। তিনি সেখানে রূপ এবং সনাতন গোস্বামী কে দীক্ষিত করেছিলেন।
তিনি বলেন, মন্দির পরিচালনা করার জন্য সঠিক হাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ইসকন এর মাধ্যমে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির মহিমা দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়বে।
মালদা ইসকনের সেবায়েত গোপীনাথ কানাই দাস বলেন, মায়াপুর, লন্ডন অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা এসেছিলেন লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে।
এদিন লক্ষীনারায়ন বিগ্রহের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর পাশাপাশি ১০৮ পদে ভোগ নিবেদন করা হয়।