আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ আগামী বৃহস্পতিবার কলকাতার সল্টলেকে শুরু হচ্ছে বাম যুব সংগঠন ডি.ওয়াই.এফ.আই-র ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন। তার আগে বুধবার ‘ধর্মনিরপেক্ষ ভারত গড়তে ও কর্মসংস্থানের অধিকার সুনিশ্চিত করতে যুবদের সংগ্রাম তীব্র করার এই আহ্বান জানিয়ে বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রাম থেকে কলকাতার রানী রাসমনি এভিনিউ পর্যন্ত পদযাত্রার সূচনা করলো ডি.ওয়াই.এফ.আই। এদিন ‘শহিদ মইদুল ব্রিগেড’ নামাঙ্কিত এই পদযাত্রার সূচনা করেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জী। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র ,রাজ্য সভাপতি দেবজ্যোতি সাহা প্রমুখ।
গত ১১ ই ফেব্রুয়ারী বেকারদের কাজের দাবীতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র যুব সংগঠন গুলি। আর ঐ কর্মসূচীতে যোগ দিয়েছিলেন চোরকোলা গ্রামের ডি.ওয়াই.এফ.আই কর্মী, পেশায় টোটো চালক মইদুল ইসলাম মিদ্যাও। আর কর্মসূচী মাঝপথে আটকে দিতে পুলিশ ব্যাপক বল প্রয়োগ করে। তার মাঝেই ‘পুলিশের লাঠির ঘায়ে’ গুরুতর আহত হন মইদুল বলে অভিযোগ। পরে কলকাতার এক বেসরকারী মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় সেই সময় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
এদিন বাম যুব সংগঠনের নেতৃত্বে মইদুল মিদ্যার বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তবে শারিরীক অসুস্থতার কারণে এদিন মিছিলে অংশ নিতে না পারলেও আগামী ১৩ এপ্রিল মইদুলের মা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তার বাড়ি থেকেই এই পদযাত্রা শুরু হয়। ডি.ওয়াই.এফ.আই -র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জী বলেন, মইদুল আমাদের কাছে লড়াইয়ের প্রেরণা। মইদুলের মা ও স্ত্রী আমাদের সম্মেলনে হাজির থাকবেন। তাঁদের অনুমতি নিয়ে পদযাত্রা শুরু হলো বলে তিনি জানান।