ডাকাতির আগেই পুলিশের জালে ৫ ডাকাত,উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র সহ ডাকাতির সরঞ্জাম।

0
644

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং :- ডাকাতির আগেই তা বাণচাল করলো পুলিশ।পুলিশের জালে ধরা পড়লো পাঁচ পাঁচজন কুখ্যাত ডাকাত।ধৃত ডাকাতরা হল গোসাবার শম্ভুনগরের চরপাড়ার রুহূল কুদ্দুস মোল্লা,গোসাবার গোবিন্দপুরের হাসেম ঘরামী,গোসাবার সূর্য্যবেড়িয়ার চন্ডীপুরের করীম আলি লস্কর,সুন্দরবন কোষ্টাল থানার বড় মোল্লাখালির বাপন দাস,ক্যানিংয়ের ইটখোলার মধুখালির ইমরান হাসান মোল্লা।ধৃত ডাকাতদের কাছ থেকে ১ টি বন্দুক,দুরাউন্ড কার্তুজ সহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ক্যানিং থানার তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বাস পাড়া এলাকায়।
পুলিশ সুত্রে জানা এদিন ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে একটি ডাকাত দল তালদির বিশ্বাস পাড়া এলাকায় জড়ো হয়েছিল।এমন খবর গোপন সুত্রে পৌঁছে যায় ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে।এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে ক্যানিং থানার আইসি আতিবুর রহমানের নির্দেশে এসআই রবীন পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী রাতের অন্ধকারে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখানে সন্দেহভাজন পাঁচ জন কে প্রথমে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।ধৃতরা যে ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়ে জড়ো হয়েছিল তা পুলিশি জেরায় স্বীকার করে।পরে ৫ ডাকাত কে গ্রেফতার করে পলিশ। অন্যদিকে পুলিশের উপস্থিতি আগেভাগে বুঝতে পেরে বেশ কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে রাতের অন্ধকার গা ঢাকা দেয়। পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের ধরতে পুলিশ এলাকায় চিরুনী তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারীর দিবাকর দাস জানিয়েছেন ‘ধৃত ডাকাতদের নামে এর আগেও বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে।ধৃত ডাকাত দলের সাথে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে ধৃতদের কে জিঞ্জাসাবাদ করে পালিয়ে যাওয়া ডাকাতদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে।ধৃতদের বৃহষ্পতিবার আদালতে তোলা হবে।’