মনিরুল হক, কোচবিহার: স্কুলের মধ্যেই সাড়ে চার বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জেরে উত্তাল হল কোচবিহারের নিশিগঞ্জ। ওই ঘটনার চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ারার পরেই অভিভাবকসহ কয়েকশো গ্রামবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ওই বেসরকারি স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে কোচবিহার-মাথাভাঙ্গা রাজ্য সড়কে খেজুরতলা এলাকায় পথ অবরোধে শামিল হন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে নিশিগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ রুনিবাড়ি খেজুরতলা এলাকার ওই বেসরকারি স্কুলে পৌঁছোয়। গ্রামবাসীরা স্কুল ঘেরাও করতেই অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলের পাশেই একটি বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়।
পরে ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পথ অবরোধ করার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ওই শিশুটিকে স্কুলের মধ্যেই যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্ত শিক্ষক। আজ সকালে ওই শিশু কন্যা অসুস্থ হয়েছে পরে। পরে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে বিষয়টি বুঝতে পারেন অভিভাবকরা। পরে তা নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। পরে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত এই শিক্ষকের নাম কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।ওই ঘটনার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান মাথাভাঙা মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মন্ডল।
ধর্ষণকাণ্ডে যেভাবে তদন্ত হয় ঠিক একই ভাবে তদন্ত করা হবে এই ঘটনারও। তবে যেহেতু শিশুর বয়স মাত্র চার সুতরাং সম্পূর্ণ বিষয়টি অতি সংবেদনশীল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাথাভাঙ্গা থানার অন্তর্গত নিশিগঞ্জ আউটপোস্ট এর ওসি অজয় রায় এবং মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান জানান, বর্তমানে অভিযুক্তকে মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মাথাভাঙা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা রুজু করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা মহকুমা আদলতে তোলা হবে।
এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।