তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই বছর ঘরছাড়া বেশকিছু তৃণমূল পরিবার, এবার তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন তৃণমূলের নব নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা।

0
345

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় দুই বছর ঘরছাড়া বেশকিছু তৃণমূল পরিবার। এবার তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন তৃণমূলের নব নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারাগর নতুনপাড়া এলাকার ঘটনা। জানা যায় প্রায় দু বছর আগে ওই এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী গোবিন্দ দাস নিজের এলাকাতেই খুন হন। তাকে গুলি করে খুন করে কয়েকজন দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ওঠে ওই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই সন্দেহের বশেই ওই রাতেই একাধিক পরিবারের ওপর আক্রমণ করা হয়। প্রাণভয় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রায় ৯ টি পরিবারের সদস্যরা। এরপর অবাধে চলে বাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাট। প্রায় দুই বছর ধরে ঘরছাড়া হয়ে প্রশাসনের দরজা এবং জনপ্রতিনিধির দরজায় দরজায় ঘুরেছেন তারা। অবশেষে শান্তিপুরের নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক এবং শান্তিপুর পৌরসভার পৌরপতি এবং স্থানীয় কাউন্সিলর এর তত্ত্বাবধানে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদেরকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। যদিও এখনও চোখেমুখে আতঙ্ক ছায়া তাদের। বাড়িতে রাত কাটাতো রীতিমত ভয় পাচ্ছেন আক্রান্তরা। তাদের দাবি তারা চলে যাওয়ার পর তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় এবং তাদের যা জিনিসপত্র ছিল অবাধে লুটপাট চালায় ওই এলাকারই কয়েক জন দুষ্কৃতী। এ বিষয়ে এদিন ওই ঘরছাড়া পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পৌরপতি সুব্রত ঘোষ বলেন, এই ঘরছাড়া পরিবারদের উপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছে তা এককথায় অমানবিক। আমরা আর্থিক দিক থেকে এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে চেষ্টা করব তাদের সাহায্য করার। এর পাশাপাশি তিনি বলেন প্রশাসনকে এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি যাতে এই ঘটনায় নতুন করে আবারো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং এই পরিবারগুলি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে যাতে বসবাস করতে পারে।