মাঠে শৌচকর্ম করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক আদিবাসী নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক মহিলা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।

0
249

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- মাঠে শৌচকর্ম করাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে এক আদিবাসী নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণ করে বিহারে পাচারের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক মহিলা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।ঘটনার আট দিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত ওই নাবালিকার কোন খোঁজ মেলেনি বলে পরিবার সূত্রে খবর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পিপলা গ্রামের বাসিন্দা মঞ্জু পাসমানের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রায় আট দিন আগে এক সন্ধ্যা বেলা মাঠে শৌচকর্ম করাতে নিয়ে যায় প্রতিবেশী এক মহিলা যশোদা ঋষি।তারপর থেকে আর ওই নাবালিকা‌ মেয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকেরা।এমনকি যশোদা এবং তার স্বামীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে পরিবারের অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে অপহরণ হয়ে যাওয়া ওই নাবালিকার মা মঞ্জু পাসমান জানান গত ৮ দিন আগে এক সন্ধ্যা বেলা আমার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে শৌচকর্ম করার নাম করে নিয়ে যায় প্রতিবেশী যশোদা ঋষি। তারপর থেকে মেয়ের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশী যশোদা ও তার স্বামীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকা তে আমরা খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের কোন হদিস পাইনি।আমার সন্দেহ আমার প্রতিবেশী মহিলা যশোদা ঋষি ও তার স্বামী মথুর ঋষি মিলে আমার মেয়েকে অপহরণ করে বিহারে পাচার করেছে। আমি চাই পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিক।

এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি।