মদ্যপ অবস্থায় নির্মমভাবে ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ।

0
323

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  মদ্যপ যুবকের হাতে গুরুতর জখম ৬৭ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়ার অভিযোগ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি শান্তিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন নীলমণি মার্কেটের। অভিযোগ শান্তিপুর হরেকৃষ্ণ পল্লী এলাকার যুবক অমল হালদার তার দলবল আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিদিনই ওই মার্কেটে মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব চালায়, এবং ওই মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা চাই। ব্যবসায়ীরা দিতে রাজি না হলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এরপর প্রাণে মারার হুমকি প্রজন্ত দেয় ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীদের। ওই যুবকের প্রতিদিনের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বুধবার ওই মার্কেট এর সমস্ত ব্যবসায়ীরা অভিযুক্ত অমল হালদার এর বিরুদ্ধে একটি মার্চ পিটিশন সংগ্রহ করছিল, সেই সময় খবর পাই অমল হালদার। তারপরেই তার দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় ওই ব্যবসায়ীদের উপর। অভিযোগ ওই মার্কেটের সহ-সভাপতি যোগেশ শিকদার বয়স ৬৭ বছর তাকে বেধড়ক মারধর করে, এখানেই শেষ নয় ইট দিয়ে তার মাথায় মেরে মাথা থেতলে দেয়, এছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা গুরুতর জখম যোগের শিকদারকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। জানা যায় গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্ত যোগেশ শিকদার। অভিযোগের সুরে ব্যবসায়ীরা বলেন, অভিযুক্ত অমল হালদার এর প্রতিদিনের তাণ্ডবের ঘটনায় শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী কে জানাবে বলেই আজ তারা মার্চ পিটিশন সংগ্রহ করছিলেন, তখনই মদ্যপ অবস্থায় দলবল নিয়ে আচমকা হামলা করে অমল হালদার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অমল হালদার এর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নীলমণি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ব্যবসায়ীদের পুলিশের কাছে আর্জি, অবিলম্বে অভিযুক্ত অমল হালদার এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ, না হলে তার তাণ্ডব আর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যদিও আজকের এই ঘটনা শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক কে লিখিতভাবে জানাবেন ওই ব্যবসায়ীরা, এমনটাই জানান ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।