নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতর থেকে বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য, আতঙ্কে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগী সহ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসকরা। ঘটনাটি শান্তিপুর ফুলিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। জানা যায় বুধবার রাত্রি এগারোটা ত্রিশ নাগাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিনের কর্মরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার হঠাৎই উচ্চস্বরে কুকুরের চিৎকার চেঁচামেচি পড়তে শোনে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার কাছে গিয়ে দেখে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আউটডোর এর গেটের সামনে একটি পূর্ণবয়স্ক গোখরো সাপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। যদিও গেটের পাশে একটি ইটের গাদা থাকার কারণে ওই বিষধর গোখরো সাপটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে পারিনি। প্রমাণ সাইজের পূর্ণবয়স্ক বিষধর গোখরো সাপ টিকে দেখামাত্রই রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয় গোটা স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে, এছাড়াও চিকিৎসাধীন রোগীরাও আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। পুরো ঘটনাটি জানাজানি হতেই তৎপর হয় ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর পূজা মৈত্র। তড়িঘড়ি ফোন করে শান্তিপুর থানায় পাশাপাশি ফোন করে বনদপ্তরে। যদিও বনদপ্তর এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হবে বলে শান্তিপুর থানার পক্ষ থেকে শান্তিপুরের বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহা কে বিষধর গোখরো সাপ টিকে উদ্ধার করার জন্য জানানো হয়। খবর পাওয়া মাত্রই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছায় উদ্ধারকারী অনুপম সাহা, এরপর ওই বিষধর গোখরো সাপ টিকে উদ্ধার করে বস্তাবন্দি করে। যদিও উদ্ধারকর্জের শেষে ওই বিষধর সাপ টিকে বোনদপ্তরের কর্মীদের হাতে তুলে দেবেন বলে জানান উদ্ধারকারী অনুপম সাহা। স্বভাবতই রাতের অন্ধকারে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভেতরে বিষধর গোখরো সাপ ঢুকে পড়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যদিও বিষধর গোখরো সাপ উদ্ধার হওয়ার পরে অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে সকলের। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি অনেকটা এরিয়া জুড়ে থাকাই বেশ কিছু জায়গায় ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়েছে, আর তার কারণেই বিষধর সাপের উপদ্রব বলেই ধারণা। আগামী দিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে জন্মানো আগাছা গুলি পরিষ্কার করলে এই সাপের উপদ্রব থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।