বন্যপ্রাণী শিকার রুখতে পাঁশকুড়া সচেতনতা শিবির আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে নিয়ে।

0
364

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :–আগামী ২৯ ও ৩০ শে মে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ জনদের রয়েছে ফলহারিনী কালী পূজো ও সেঁদরা পরব। আর এই পরব উপলক্ষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশ কিছু মানুষ জন শিকার উৎসবে সামিল হন। এর ফলে বহু বন্যপ্রানী শিকার করার ফলে ১৯৭২ সালের বন্যপ্রানী সংরক্ষন আইন লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েক বছর পাঁশকুড়া ব্লকের ক্ষিরাই, হাউর এলাকায় বেশ কয়েক বছর বন্যপ্রানী শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ। আর এই কারনে সেঁদরা পরবের আগে থেকেই বনদপ্তর ও ব্লক প্রশাসন মানুষকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছেন।এলাকায়, গিয়ে মাইক প্রচার থেকে শুরু থেকে পোষ্টারিং সহ বাড়িবাড়ি গিয়ে প্রচার করছে পাঁশকুড়া বনদপ্তর। আর সেই কারনে পাঁশকুড়া বনদপ্তরের পক্ষ থেকে শুক্রবার একটি সচেতনতা মূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। যেখানে রেলদপ্তর, পাঁশকুড়া ব্লক প্রশাসন, বনদপ্তরের আধিকারিক এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ জনদের নিয়ে এই সভা করা হয় পাঁশকুড়া ব্লক অফিসে। এই সভায় প্রত্যেক দপ্তর এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরাও বন্যপ্রানী হত্যার পক্ষে সওয়াল করেন এবং আসন্ন সেঁদরা পরবে বাইরে থেকে যে সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বন্য প্রানীদের হত্যা করতে আসবে তাদের বোঝানো এবং বাধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। এই দিনের এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বনদপ্তরের এ ডি এফ ও- বলরাম পাঁজা, মানস চরন দাস, পাঁশকুড়া বনদপ্তরের আধিকারিক মনিষা সাউ, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি সেক হানিফ মহম্মদ, রেলের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।