অজয় দে স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে শ্রদ্ধেয় জননেতা প্রয়াত অজয় দে র প্রথম বার্ষিক স্মরণ সভায় জনপ্লাবন।

0
411

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ১৯৫২ সালের ২২ শে এপ্রিল জন্মগ্রহণ করা শান্তিপুরের কৃতি সন্তান অজয় দে তাঁর ৬৯ বছর জীবদ্দশায় ২৫ বছরের বিধায়ক ৩১ বছরের এর পৌরপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন শান্তিপুর পৌরসভার। স্যার অসমঞ্জ দে তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা খুন হন আততায়ীদের হাতে, দাদার অসমাপ্ত কাজ করতে রাজনীতিতে প্রবেশ। কংগ্রেস পরবর্তীতে তৃণমূল ডানপন্থী দুটি দলে তিনি ছিলেন নদীয়ার মধ্যে অন্যতম নেতৃত্ব। স্বল্প বাক্যের মানুষটির প্রতি শান্তিপুর বাসিল অগাধ আস্থা, ধৈর্যশীল বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হলেও সমাজের সকল অংশের প্রতি ছিল তাঁর সমান নজর । শিল্প এবং সংস্কৃতি চর্চায় তার বহু নিদর্শন পাওয়া যায় ।গতবছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হৃদরোগের তাঁর মৃত্যু হয়। শান্তিপুরের ডানপন্থী রাজনীতি অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে ,শেষ হয় এক অধ্যায় । করোনা পরিস্থিতির মাঝেও তাঁর কফিনবন্দি মৃতদেহ তাঁর তৈরি শান্তিপুর মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পাদনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তার দু’পাশের অগণিত সাধারণ মানুষ চোখের জলফেলে ছিলেন।
আজ তার প্রথম প্রয়াণ বর্ষ। তার নিজস্ব বাড়ি কাঁসারিপাড়ায় অজয় দে স্মৃতিরক্ষা কমিটির আয়োজনে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু, রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি প্রাক্তন বিধায়ক সংকর সিংহ, বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী, জেলা পরিষদ সদস্য নিমাই চন্দ্র, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তারানুর সুলতানা,
রাজ্য এস সি এস টি ওবিসিসেলের চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ ডঃ তাপস মন্ডল, নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মেন্টর বাণী কুমার রায়,
শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ ভাইস চেয়ারম্যান কৌশিক প্রামানিক, সি এসসি মেম্বার শুভজিৎ দে সহ বিভিন্ন কাউন্সিলরগণ এবং পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান এবং সমিতির সদস্যগণ, ছাত্র যুব মহিলা শ্রমিক শিক্ষকসহ দলীয় বিভিন্ন শাখা সংগঠন এর নেতৃত্ব। এ বাদেও বিশিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা, কবি সাহিত্যিক নাট্যকার চিত্রকর সহ সমাজের সকল স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ভিড় লেগেই ছিল সারাদিন ব্যাপী। সুদূর গ্রাম থেকে বহু বুথ স্তরের কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সেখানে মূর্তিতে মাল্যদান এরপর স্মৃতিচারণ করা হয় । অজয় দে স্মৃতিরক্ষা কমিটির আয়োজনে পাশাপাশি চলে মহৎ রক্তদান অনুষ্ঠান। সেখানেই প্রয়াত জননেতার চিন্তাভাবনাকে মান্যতা দিয়ে 25 জন বিশেষভাবে সক্ষম কৃতী ব্যক্তিদের তাদের নিজের নিজের পেষায় উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে সংবর্ধিত করা হয়। প্রয়াত জননেতার কনিষ্ঠ ভ্রাতা গৌতম দে বলেন, দাদার মনে প্রতিবন্ধী মানুষদের স্থান ছিল হৃদয়ের অন্তস্থলে। তাই তার ইচ্ছা কে মানতা দিয়ে আজ এই আয়োজন। উনাদের মধ্য থেকেও প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে রক্ত দিয়েছেন পাঁচজন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এসেছিলেন শ্রদ্ধা জানাতে, তারাও অনেকে রক্ত দান করেছেন।