কোচবিহারে সরকারি অনুষ্ঠানে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল জেনকিন্স স্কুলের প্রোগ্রাম, ব্যাপক সমালোচনা।

0
462

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী জেনকিন্স স্কুলের প্রোগ্রাম মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এদিন কোচবিহার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘উন্নয়নের পথে ১১ বছর’ নামে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের শেষ দিন ছিল। ওই শেষ দিনে কোচবিহারের দুই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে জেনকিন্স এবং সুনীতি দেবী গার্লস হাইস্কুলের প্রোগ্রাম ছিল। সন্ধ্যায় প্রথমে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে ৪৫ মিনিট পরে স্টেজ পেয়ে জেনকিন্স স্কুল তাঁদের ছাত্রদের নিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই তা বন্ধ করার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় জেঙ্কিন্স স্কুলের ছাত্র শিক্ষক এবং অভিভাবকদের।
জেনকিন্স স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে জানানো হয়েছে, আমন্ত্রণ পাওয়ার পর স্কুলে গরমের ছুটি থাকা স্বত্বেও ছাত্ররা একমাস ধরে এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময়ের ৪৫ মিনিট পরে স্টেজ পাওয়া যায়। তারপরেও মাঝ পথে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বললে ছাত্ররা ভেঙ্গে পড়ে। তারপরেও কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমানের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জেনকিন্স স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ।
অন্যদিকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরপরেই সুনীতি দেবী গার্লস হাইস্কুলের অনুষ্ঠান ছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ফিরতে দেরী হবে বলে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ আয়োজকদের উপরে বারবার চাপ সৃষ্টি করছিল। তাই আয়োজকরা জেনকিন্স স্কুলকে অনুষ্ঠান করার জন্য বারবার আবেদন জানায়। তারপরেও কথা শুনতে না চাইলে বাধ্য হয়ে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এনিয়ে মাইকে মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান মাইকে আয়োজকদের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। কিন্তু অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় জেনকিন্স স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক মঞ্চের সামজনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
বর্তমান রাজ্য সরকার এবার ১১ বছর পূর্ণ করল। সেই উপলক্ষে গোটা রাজ্য জুড়ে সরকারি ভাবে উন্নয়নের পথে ১১ বছর বলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার সিধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। কোচবিহারে ৫ মে থেকে ১৬ দিন ধরে ওই অনুষ্ঠান করা হয়। এদিন ছিল ওই অনুষ্ঠানের শেষ দিন। মূলত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গান, নৃত্য, নাটক সহ নানা ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানের শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী জেনকিন্স স্কুলকে মাঝ পথে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।