সরকারী সার ও কীটনাশক সাধারণ কৃষিজীবীদের না দিয়ে মাটিতে পূঁতে ফেলার অবিযোগ তুলে পথ অবরোধ বিজেপির।

0
233

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ সরকারী সার ও কীটনাশক সাধারণ কৃষিজীবিদের না দিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করলো বিজেপি। শনিবার বাঁকুড়া-রানীবাঁধ রাজ্য সড়কের উপর খাতড়া রাজাপাড়া মোড়ে এই অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহি যানবাহন।

অবরোধকারী বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘নট ফর সেল ও গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ লেখা আনুমানিক প্রায় লক্ষাধিক টাকার সরকারী সার ও কীটনাশক চাষীদের না দিয়ে খাতড়ার গোড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনকাটী গ্রাম সংলগ্ন কংসাবতী নদীর চরে পুঁতে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় মানুষের নজরে বিষয়টি আসতেই তাঁরা নদীর চর থেকে মাটি খুঁড়ে ঐ সার ও কীটনাশক গ্রামের মানুষ বের করেছেন। কিন্ত সরকারী সম্পত্তি সাধারণ কৃষিজীবি মানুষকে বঞ্চিত করে বিক্রির সুযোগ না পেয়ে কে বা কারা নষ্ট করে ফেললো তা তদন্ত করে দেখা ও দোষীদের চিহ্নিতকরণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন অবরোধকারী বিজেপি নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, ঘটনাচক্রে ঐ বনকাটী গ্রামে তৃণমূল নেতা ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মহাপাত্রের বাড়ি। বিজেপির তরফে ‘সুব্রত মহাপাত্ ঐ ঘটনায় সরাসরি জড়িত’ বলে দাবি করা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে খাতড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দ মাহাতো বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। উদ্ধার হওয়া ঐ সার ও কীটনাশকে ‘গভরর্মেন্ট সাপ্লাই ও নট ফর সেল লেখা আছে’। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। সংশ্লিষ্ট দপ্তর যাতে বিষয়টি তদন্ত করে দেখে তার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

বাইট:
1) দীপক কুমার দাস (বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক, বিজেপি)
2) আশীষ মাহাতো (সভাপতি, খাতড়া মণ্ডল-২, বিজেপি)
3) আনন্দ মাহাতো (সভাপতি, খাতড়া ব্লক তৃণমৃল)