সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – পাচারের আগেই সুদূর হরিয়ানা থেকে বারুইপুরের পিয়ালীর এক নাবালিকা কে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করলো পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত জীবনতলা থানার ঘুঁটিয়ারী শরীফের পিয়ালী এলাকার অষ্টম শ্রেণীর এক নাবালিকা।সুদূর হরিয়ানা রাজ্যের এক ব্যক্তির ফেসবুকে একটি বন্ধুত্বের অনুরোধ পায়।ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে।এরপর ধীরে ধীরে হরিয়ানার ওই ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাট শুরু করে।এমনকি ফোন নম্বরও বিনিময় করে। পরবর্তি সময়ে হরিয়ানার ওই ব্যক্তি মেয়েটিকে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে প্ররোচিত করে।নাবালিকা মেয়েটি ফাঁদে পড়ে যায়।এরপর হরিয়ানা থেকে ওই ব্যক্তি কলকাতায় আসে। নাবালিকাও তার পরিবারের সকলের নজর এড়িয়ে কলকাতায় চলে যায়।১৯ এপ্রিল সেখান থেকে ওই নাবালিকা কে প্রতারণা করে হরিয়ানায় নিয়ে যায়।নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিস্তর খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়।অবশেষে ২২ এপ্রিল ওই নাবালিকার বাবা-মা জীবনতলা থানার অধিনস্থ ঘুঁটিয়ারী শরীফ পুলিশ ফাঁড়িতে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়েই ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির এসআই ফারুক রহমান তদন্তে নামেন। নির্যাতিতা নাবালিকা কে উদ্ধার জন্য সমস্ত প্রকার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত শুরু করেন।এরপর পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তি হরিয়ানার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে নাবালিকা কে লুকিয়ে রেখেছে।১৮ মে ঘুঁটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ি পুলিশের পাঁচজনের এক বিশেষ পুলিশ টীম এএসআই সৌভিক সেতুয়ার নেতৃত্বে হরিয়ানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।২১ মে ভোরে হরিয়ানা রাজ্যের সিরসা জেলার নাথুসারি থানার অন্তর্গত জোরিয়ান গ্রামে পৌঁছায় পুলিশ টীম।সেখানে রোমাঞ্চকর ভাবে অভিযান চালিয়ে ওই নাবালিকা কে একটি বদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি সেখান থেকে নারসি নামে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রানজিট রিমান্ড পেতে হরিয়ানার সিরসা আদালতে হাজির করা হয়।অভিযুক্ত এবং উদ্ধার হওয়া নাবালিকা কে নিয়ে হরিয়ানা থেকে আগামী সোমবার রাজ্যে ফিরবে বারুইপুর পুলিশ জেলার জীবনতলা থানার অন্তর্গত ঘুঁটিয়ারী শরীফ ফাঁড়ির বিশেষ পুলিশ টীম।