হুগলি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আজ জয় কিষান আন্দোলন হুগলি জেলার গ্রামে গ্রামে “কিষাণ অধিকার যাত্রা” করে। জেলার সব ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবিতে এই যাত্রার নেতৃত্ব দেন জয় কিষান আন্দোলনের রাজ্য সভাপতি প্রবীর মিশ্র ও হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি। যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন শ্যামল সিকদার (পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি), গৌর চন্দ্র দাস (পোলবা-দাদপুর ব্লক সভাপতি), মীর আব্দুল রহমান (জেলা সহ-সভাপতি), আব্দুল হালিম, জয়ন্ত মালিক, হানিফ সারকার, মলয় ঘোষ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। অধিকার যাত্রা চাঁপতা, শিখিরা, তাঁবা, কানুর, পানপা ও বেলুন সহ ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছায়।
জয় কিষান আন্দোলনের রাজ্য সভাপতি প্রবীর মিশ্র বলেন: “আমরা প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকের প্রতিটি গ্রামে স্বাধীন কৃষক সংগঠন তৈরি করতে সংকল্পবদ্ধ। সব শ্রেণীর অধিকার রক্ষার জন্য সংগঠন আছে, কিন্তু কৃষকদের কোন স্বাধীন সংগঠন নেই। যে সব রাজনৈতিক দল কৃষক সংগঠন তৈরি করেছে, তারা কৃষকদের কেবল ভোটার হিসাবে দেখে। কৃষক কোন বিপদে পড়লে তার পাশে সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। আজ জয় কিষান আন্দোলন হুগলি জেলার একটি সীমিত এলাকায় যাত্রার মাধ্যমে কৃষকদের পাশে পৌঁছেছে, তাদের ফসলের সঠিক দাম পাওয়ার মূল দাবি নিয়ে প্রচার আন্দোলন সংগঠিত করছে এবং কৃষকদের জবানবন্দিতে তাদের সংকটের কথা শুনেছে। আগামী দিনে আমরা সারা বাংলায় লাগাতার কৃষক অধিকার যাত্রা করবো ও কৃষকদের সংঘবদ্ধ করবো।”
জয় কিষান আন্দোলনের হুগলি জেলা সভাপতি সুশান্ত কাঁড়ি বলেন: “চাষির মূল সমস্যা ফসলের সঠিক দাম পাওয়া। হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে সে যখন ফসল নিয়ে বাজারে যায় তখন তার সঙ্গে লটারি খেলা হয়। সরকার সব জানে কিন্তু পাথরের মূর্তি হয়ে থাকে। সামান্য কয়েকটা ফসলের সামান্য কিছু চাষীকে বাজারমূল্য পাইয়ে দিয়ে সরকার প্রচার করে যে চাষিরা ফসলের দাম পেয়ে খুশি। বাংলার যে কোনো চাষীকে প্রশ্ন করলেই জানা যাবে যে তারা ফসলের সঠিক দাম পায়না এবং তাই নিয়ে সারা বছর দুশ্চিন্তায় থাকে। সমস্ত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সরকারকে ঘোষণা করতে হবে এবং সেই ঘোষিত দাম গ্যারান্টি যুক্ত ভাবে প্রত্যেকের চাষিকে পাইয়ে দিতে হবে। এই দাবিতে আমরা লড়ছি এবং যতক্ষণ না এই দাবি সরকার মেনে নিয়ে যথাযথ কাজ করেন, ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে।”