শ্রীচৈতন্যদেবের ব্যবহৃত পাদুকা নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা ঐতিহাসিক রামকেলি এলাকায়।

0
733

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা,২২ মে : শ্রীচৈতন্যদেবের ব্যবহৃত পাদুকা নিয়ে ভক্তদের উন্মাদনা ঐতিহাসিক রামকেলি এলাকায়।
শনিবার সন্ধ্যায় রূপ সনাতন মিলন মন্দির কমিটির উদ্যোগে পাদুকা নিয়ে আসা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।
জানা গিয়েছে, গত দুইদিন মালদা জেলার গাজোল এলাকায় পাদুকা নিয়ে আসা হয়েছিল নাম সংকীর্তন এর জন্য। নদীয়া থেকে পাদুকা নিয়ে আসতে বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছিল নবান্ন থেকে।
নদিয়া যাওয়ার পথে সে পাদুকা নিয়ে আসা হয় রামকেলি ধামে।
এদিন সন্ধ্যায় শ্রীচৈতন্যদেব ব্যবহৃত পাদুকা রামকেলি এলাকায় আসতেই হাজার হাজার ভক্তদের ঢল নামে। গোটা রামকেলি এলাকায় নাম সংকীর্তন করেন ভক্তরা। পাদুকা স্পর্শ করতে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় ভক্তদের মধ্যে।
কথিত রয়েছে আজ থেকে প্রায় ৫১০ বছর আগে পায়ে হেঁটে জ্যৈষ্ঠ মাসে গুপ্তবৃন্দাবন বলে কথিত রামকেলি এসেছিলেন শ্রী চৈতন্যদেব।
তৎকালীন মন্ত্রিসভার ২ শীর্ষ রূপ এবং সনাতন গোস্বামী কে দীক্ষিত করেছিলেন চৈতন্যদেব। পরবর্তীতে তারা সনাতন ধর্মের প্রচার করেছিলেন।
ঐতিহাসিক গৌড় আজও ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে বহু নিদর্শন বর্তমান।
কথিত রয়েছে যে কেলি কদম বৃক্ষের নিচে রূপ এবং সনাতন কে দীক্ষিত করেছিলেন চৈতন্যদেব আজও সেই বৃক্ষ রয়েছে।
একসময় শ্রীচৈতন্যদেব নাম সংকীর্তন করতে করতে সারা রামকেলি এলাকা পরিক্রমা করেছিলেন। ভক্তরা লুটিয়ে পড়ে ছিলেন নাম সংকীর্তন করতে।
এদিনও হাজার হাজার ভক্ত খোল করতাল সহযোগে সারা রামকেলি এলাকায় নাম সংকীর্তন করেন।
মন্দিরের প্রধান সেবায়েত রঘুনাথ দাস জানান, মন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এক বার নিয়ে আসা হয়েছিল চৈতন্যদেবের পাদুকা। গাজোলে একটি অনুষ্ঠানে আনা হয়েছিল চৈতন্যদেবের পাদুকা। এই জ্যৈষ্ঠ মাসে রামকেলিতে এসেছিলেন চৈতন্যদেব। ভক্তদের বড় প্রাপ্তি এই জ্যৈষ্ঠ মাসে চৈতন্য দেবের পাদুকা আসে রামকেলি ধামে।
এই মাসের সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ঐতিহাসিক রামকেলি মেলা।
তার আগে চৈতন্যদেবের ব্যবহৃত পাদুকা মন্দিরে আশায় ভক্তদের কাছে বড় প্রাপ্তি। নবান্নে বিশেষ আবেদন জানিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য সে পাদুকা নিয়ে আসা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।