বাড়ি যাওয়ার প্রধান রাস্তা সহ বেশ কয়েকটি রেললাইন পারাপার করা রাস্তা ঘিরে দেওয়ার নির্দেশ সংসদ আটকালেন নিজেই।

0
223

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়ার শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ন্যারোগেজ কে ব্রডগেজ করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। রেললাইনের একপাশে শান্তিপুর বিধানসভা অন্য কোন দিকে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা । গোবিন্দপুর দিগনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের ঢোকার যে রাস্তাগুলো দিয়ে সারাদিনে লক্ষাধিক মানুষের লাইন পারাপার যথেষ্ট বিপদজনকও। শুধুমাত্র একটি জায়গা বাদে কথাও গেটম্যান লেভেল ক্রসিং এর ব্যবস্থা নেই। এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী আজ হঠাৎ করে রেললাইন কে সুরক্ষিত রাখতে, প্রধান ওই পদ গুলি বন্ধ করতে উদ্যত হয় রেল কর্তৃপক্ষ। প্রথমে দুই একটি জায়গায় এলাকাবাসীর সাথে সামান্য বচসা হলেও তাদের বুঝিয়ে অবশেষে পিলার পুঁততে সক্ষম হন তারা। তবে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন ওইসব এলাকার মানুষ। তাদের বক্তব্য, শান্তিপুরের গোবিন্দপুর এবং দিগনগর এলাকাসহ অন্তত১১টি জায়গায় শান্তিপুরে রেলের লেভেল ক্রসিং গেট করা প্রয়োজন। তবে ওই অঞ্চলের প্রধান উন্নতি সরদার ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও আমাদের জানান, এ বিষয়ে বিধায়ক ব্রজোকৃষ্ণ গোস্বামীর সাথে কথা বলবেন।
রেল কর্তৃপক্ষ জানান, সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার জন্যই রেলের এই সিদ্ধান্ত জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, ক্রমাগত বাড়ছে রেল লাইন টপকে এ ধরনের অবৈধ এবং বিপদজনক চলাচলের রাস্তা।
এরপর শান্তিপুর গোবিন্দপুর বাজার এলাকায় একটি রাস্তা বন্ধ করার খবর পেয়ে ছুটে আসেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, যদিও সেটা তার বাড়িত যাওয়ার প্রধান রাস্তা। তিনি এসেই রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দেখতে চান, পরবর্তীতে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের সাথে ফোন করে বাতিল করেন সিদ্ধান্ত। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা আটকানো যায় না সে বিষয়ে হয়তো ওনারা বুঝতে পারেননি। তবে আশেপাশের অন্যান্য রাস্তাগুলি বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, সাইকেল মোটরসাইকেল এবং মানুষ যাতায়াতের জন্য কয়েকটি খোলা রাখার আবেদন জানাবো, তবে শান্তিপুর বাইপাস মোড় এবং গোবিন্দপুর বাজার প্রধান দুটি পথ অবশ্যই খোলা থাকবে। রাজ্য সরকার যদি জায়গা মঞ্জুর করে তাহলে ওভারপাস আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করবো, যেটা ইতিমধ্যেই জেলায় বেশ কয়েকটি মঞ্জুর করিয়েছি। এলাকার মানুষ কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন সাংসদদের প্রতি।