বয়স তার আট বছর, ইচ্ছে সাইকেল চালিয়ে মালদা থেকে কলকাতা পাড়ি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবে।

0
258

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- বয়স তার আট বছর। দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ে। তাঁর ইচ্ছে সাইকেল চালিয়ে মালদা থেকে কলকাতা পাড়ি দেওয়ার। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবে সে।সাথে নিয়ে যাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য আমস্বত্ত ও গোলাপজাবন। কেন এমন ইচ্ছে তার?প্রশ্ন করতেই চটপট উত্তর মমতাদির প্রকল্পের জন্য সে এবং তার দুইদিদিরা আজ শিক্ষিত হতে পারছে। ছোট্ট এই মেয়েটির নাম সায়ন্তিকা দাস। বাবা প্রদীপ দাস পেশায় গাড়ি চালক। মা উমা দাস গৃহবধূ। আর্থিক অনটনের সংসার তাদের। সায়ন্তিকার দুই দিদির পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতন পরিস্থিতি তৈরী হয়। সেই সময় পাশে এসে দাড়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্প। তারপর রূপশ্রী প্রকল্প।যে কারণে সায়ন্তিকার দিদিরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজে পড়ে। সায়ন্তিকাও বিনে পয়সায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। পরিবর্তন হয়ে গেছে তাদের লাইফস্টাইল। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে ধন্যবাদ জানতে সাইকেল চালিয়ে ২৬মে তারিখে রওনা দিচ্ছে সে। মালদার জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার সহ সরকারি আধিকারিকদের লিখিতভাবে জানিয়েছে তার ইচ্ছের কথা। ইংরেজবাজার পুর এলাকার ২৭নং ওয়ার্ডে মনস্কামনা পল্লীতে এক চিলতে টালির ঘরে থাকে সে। সায়ন্তিকার মা উমা দাস জানান তিনি নিজের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বেশীদুর পড়াশোনা করতে পারেন নি। পড়াশোনার করার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার জন্য অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। আর্থিক কারণে তার মেয়েদের পড়াশোনাও মাঝপথে সমাপ্তি ঘটতো। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে সমস্যা অনেকটায় সমাধান হয়েছে। তার ছোট মেয়ে তাই দিদির ভক্ত। তার ইচ্ছার জন্য তাকে সমর্থন করছি। ছোট মেয়ের সাথে তারাও যাচ্ছেন দিদির কালীঘাটের বাড়িতে। তারা মালদা থেকে রওনা দিয়ে কৃষ্ণনগর হয়ে বৈদ্যবাটি ডানকুনি হয়ে কালীঘাট যাবেন।
ছোট শিশুর এমন কান্ডে উচ্ছৃসিত ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার পুজা দাস। তিনি বলেন শিশুটিকে উৎসাহ দিতে তার পাশে থেকে সমস্তরকম সহযোগিতা করবেন।