গভীর কালো নির্জন রাতের
বুক চিরে চলেছে শেষ ট্রেন,
লালগোলা প্যাসেঞ্জার।
চোখের দু’পাতা এক হওয়ার
জো নেই, উদোম হাওয়া এসে
ঝাপটি মারে,এলো চুল ওড়ে।
গন্তব্য মুর্শিদাবাদ,রাত পোহাতে
আর ঘন্টা দুই,সবাই ঘুমায়,নির্জন
রাতে ঐতিহাসিক চরিত্ররা আসে।
ঢাকার দেওয়ান রাজবল্লড বলে-
কৃষ্ণদাস,এখনি পালাও সোনাদানা
অর্থ নিয়ে,সে হুগলি নদী পার হয়।
উইলিয়াম ড্রেক তাকে এক্তিয়ারের
বাইরে গিয়ে পলিটিক্যাল প্রোটেকশন্
দেয়,সিরাজ কড়া পদক্ষেপ নিতে তৎপর।
বেগম লুৎফুন্নেসা নবাবকে বলে,জানো,
স্বপ্ন দেখলাম ক্লাইভের গভীর ষড়যন্ত্রে
আমাদের ঘসেটি বেগমও গোপনে লিপ্ত।
নবাব আসেন,স্বদর্পে পায়চারি করেন
বিনা অনুমতিতে দুর্গ সংস্কার ও নির্মাণ
নবাবের স্বাধীন ব্যক্তিত্ত্বে আঘাত দেয়।
আকাশের তারারা আরো উজ্জ্বল হয়
রজনীগন্ধার মালা হাতে লুৎফু,প্রেমে
পাগল,সুমিষ্ট গন্ধে ভরে যায় মতিঝিল।
ঘসেটি বন্দি,মতিঝিল রাজপ্রাসাদের
গোপন কক্ষে নিক্ষেপ করেন সিরাজ,
নবাবের দূত নারায়ণ দাসের অপমান…
শুল্কদুর্নীতি চরমে ওঠে,মীরজাফর আসেন
তৃতীয় প্রহরে,সিরাজের বিরুদ্ধে সে সক্রিয়,
নবাব-বিরোধী চরিত্ররা একেএকে আসে।
পলাশীতে ট্রেন থামে,স্বপ্নে আসা চরিত্ররা
মিলিয়ে যায়,চায়ের কাপে চুমুক, খলনায়ক
মীরজাফরের কবরের আর্তনাদ চরাচরে।