সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বৃষ্টি হচ্ছিল ঝিমঝিম করে। সেই সময় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে যে যার মতো এখানে ওখানে ছুটে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।সেই সময় এক বছর সত্তর অধিক বয়স্ক বৃদ্ধ রাজপথে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজছেন।হাঁটার কোন ক্ষমতা নেই। কোন রকমে বসে বসে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।গাড়ি চলাচল করায় যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।তাঁর পরনের পোশাক থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। নোংরায় জর্জরিত। কেউ তাঁর কাছে যেতে চাইছেন না।ঘটনাস্থল ক্যানিং মাতলা ব্রীজ সংলগ্ন ক্যানিং-বাসন্তী রোড।এমন ঘটনা নজর এড়ায়নি কর্তব্যরত এক ট্রাফিক সিভিক ভলেন্টিয়ারের।সুজিত সাহ। ক্যানিং ট্রাফিক এর অধীনে সিভিক ভলেন্টিয়ারে কর্মরত।এমন ঘটনা দেখে কোন কিছু না ভেবেই মুহূর্তে দৌড়ে গিয়ে হাজীর হয় অসহায় বৃদ্ধ পথিকের সামনে।তাকে কোলে তুলে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।এখানেই শেষ নয়!বৃদ্ধ ইশারা করে জানায় খিদে লেগেছে এবং জল তেষ্টা পেয়েছে তার।বৃদ্ধ কে সেবাযত্ন করে তাকে জল ও খাবার খাইয়ে দেয় সিভিক ভলেন্টিয়ার সুজিত।এমন মানবিক কর্তব্য নজর এড়ায়নি ক্যানিং ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মলয় দাস ও ট্রাফিক ওসি দেব প্রসাদ সরদার সহ স্থানীয় এক বছর পঁচাত্তর বয়সের বৃদ্ধ’র।তাঁরা সিভিক ভলেন্টিয়ার এর এমন মানবিক কর্তব্য কে কুর্ণিশ জানিয়েছেন।
বৃদ্ধ নবকুমার সরদার জানিয়েছেন ‘আমার বয়স প্রায় পঁচাত্তর বছর। আমার জীবনে কোন দিনও পুলিশের এমন মানবিক কাজ দেখতে পায়নি।আমরা বাইরে বের হলে ভয় হয়। যদি কোথাও কোন বিপদ হয় কে দেখবে?আজ স্বচক্ষে যা দেখলাম তা সত্যিই বিশ্বাস করতেই পারছিনা।পুলিশ যে এমন মানবিক হতে পারে তা এই শেষ জীবনে বুঝতে পারলাম এবং একটা ভরসা পেলাম যে,মনুষ্যত্ব মরে নাই জীবিত রয়েছে।