আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়া জেলার ছাতনার বাসিন্দা বছর 29 এর যুবক শুভেন্দু চ্যাটার্জী, আর পাঁচটা যুবকের মতই ছাপোষা জীবনে অভ্যস্ত। জীবনের শুরুটা সাধারন ভাবেই হয়েছিল আর ঠিক পাঁচজনের মতো। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে কলেজ জীবন সবটাই সমান্তরালভাবে পের করে এসেছে এই যুবক, কিন্তু সমাজের সব স্তরে শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সামাজিক স্তরে খারাপ ছেলের তকমা পেতে হয়েছে শুভেন্দু কে। তার এই খারাপ তকমা পাওয়ার কারণ সত্যিই তার কাছে এখনো অজানা, তবে তার দৃষ্টিতে তার এই ‘খারাপ’ তকমা পাওয়ার কারণ সবকিছুতে তার গা-ছাড়া ভাব। এমনকি তার প্রেমিকাও তার জীবনধারন দেখে তাকে খারাপ তকমা দিয়েছে এবং তার সঙ্গও ছেড়ে গেছে, শুভেন্দু জানায় ভালবাসার মানুষ চলে যাওয়ার পরে কয়েকটা মুহূর্ত কষ্টে কাটলেও, তাকে খারাপ তকমা নিয়েই পথ চলতে হবে তার জেদ বাড়িয়ে দিয়েছে, হ্যাঁ সে আজ নিজের জেদে ‘খারাপ চাওয়ালা’। বাঁকুড়ার ছাতনার দুবরাজপুর মোড়ের কাছে শুভেন্দুর সেই চায়ের দোকান যেখানে বড় বড় হরফে লেখা আছে ‘খারাপ চাওয়ালা’, ভোর চারটা থেকে শুরু হয়ে রাত দশটা অবদও চলে তার চা বিক্রির রোজনামচা। সত্যিই তার চা খারাপ বলেই তার টানে হয়তো ছুটে আসে প্রত্যেকটা পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু জেলাবাসী। শুভেন্দু জানায় তার জীবনের আগামীতেও সে খারাপ চাওয়ালা হয়েই থাকতে চায় এবং সে তার বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই খুশি। ভাগ্যিস খারাপ তকমা পেয়েছিল ছেলেটা, তাই হয়তো সে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে একজন চাওয়ালা হিসেবে।