ক্যানিংয়ে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া নিয়ে সচতনতায় পঞ্চায়েত সদস্য।

0
292

সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং —ক্যানিংয়ের মাতলা ১ পঞ্চায়েতের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের যেখানে সেখানে ময়লা,আবর্জনা এবং প্লাস্টিকের পাহাড় জমছে।এমন কি জলনিকাশী নালায় প্লাস্টিক,থার্মোকলের চাপে বন্ধ হতে বসেছে জল নিকাশী ব্যবস্থা।এলাকায় বাড়ছে কীটপতঙ্গ,বিষধর সাপ সহ মশা,মাছির আনাগোনা। সামনেই আবার বর্ষাকাল,দাপট দেখাতে পারে ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া।
যাতে কে কোন প্রকার রোগজীবাণূ দাপট দেখাতে না পারে এবং এলাকার মানুষজন সুস্থ থাকতে পারে তারজন্য আগেভাগেই উদ্যোগ নিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ অধিকারী।শনিবার সকাল বেশ কিছু এলাকার নালা,নর্দমা,শৌচালয়ে ব্লিচিং ছড়ালেন তিনি নিজেই।পঞ্চায়েত সদস্যের এমন উদ্যোগ দেখে তার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এলেন ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা প্রভাকর দাস,সঞ্জয় নস্কর,অমিত হালদার,পলাশ সাহা।এলাকায় যাতে করে মশা,মাছি,কীটপতঙ্গ মারা যায়,বংশ বিস্তার করতে না পারে তার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হয় ও ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়। ।
এখানেই শেষ নয় এদিন পঞ্চায়েত সদস্য ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাবধানতার বানী শুনিয়ে নিজের ওয়ার্ডের লোকজনদের কে সচেতন করেন।যাতে করে এলাকায় নোংরা আবর্জনার পাহাড় না জমে,যতটা সম্ভব প্লাস্টিক ব্যবহার পরিত্যাগ করা।কারণ নোংরা আবর্জনা থেকে রোগজীবাণু ছড়ায়। এবং নালা-নর্দমায় প্লাস্টিক জমা হয়ে জলনিকাশী ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। সেই সমস্ত জমা নোংরা জলেই মশা মাছির আবির্ভাব ঘটে।
ওয়ার্ডের বাসিন্দা শম্পা গায়েন,শিবানী গায়েনরা জানিয়েছেন ‘পঞ্চায়েত সদস্য রবীন্দ্রনাথ অধিকারী যেভাবে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে প্লাস্টিক বর্জন এবং এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিচ্ছেন তাতে করে আমাদের এই এলাকায় ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়া থাবা বসাতে পারবে না। কারণ মানুষ পঞ্চায়েত সদস্যের কথায় অনেক আগেই সচেতন হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করছেন।“