ছোট্ট এক রত্তি মেয়ের প্রতিভায় মুগ্ধ কলকাতা মিউনিসিপ্যালিটি রূপকার যাদবপুর ১০১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত।

0
1116

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা :-  হিন্দুস্তান আর্ট মিউজিক সোসাইটির পরিচালনায় ১১থেকে ১৬বছর পর্যন্ত ২১০জন প্রতিযোগীনীর মধ্যে ভারতনাট্যম নৃত্য প্রতিযোগিতায় ব্যাংকক থাইল্যান্ড শহরে এক আনুষ্ঠানিক হলে প্রথম স্থান অধিকার করে তাক লাগিয়ে দিল বাঘাযতীন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুপ্রভাত ও গার্গী সরদারের একমাত্র কন্যা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অভিলীনা সরদার। সেই ছোটবেলা চার বছর থেকে নাচ শুরু অভিলীনার। মায়ের কঠোর পরিশ্রম এবং বাবার পূর্ণ সহযোগিতায় একাগ্রতা মনোযোগী অধ্যাবসায় ধীরে ধীরে ভারতনাট্যম এর এক প্রতিভাবান শিল্পী হিসেবে পরিগণিত হলো অভিলীনা।

নৃত্য শিক্ষক রক্তিম চন্দ্রের সুনিপুণ শিক্ষকতায় কালাসেত্রম ঘরানার ভারতনাট্যম নিত্য একাগ্রতা চিত্তে কঠোর অধ্যায়নের প্রকৃত পুরস্কার পেল। থাইল্যান্ড ব্যাংকক শহরে হিন্দুস্তান আট মিউজিক সোসাইটির নৃত্য প্রতিযোগিতায় ২০০ বেশি শিল্পীর মধ্যে তার প্রিয় ছাত্রী প্রথম স্থান অধিকার করায় শিক্ষক হিসেবে তিনি গর্বিত এমনই জানালেন শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র।

গর্বিত বাবা মা, গর্বিত আত্মীয় স্বজন পরিবার সকলে, সেসঙ্গে গর্বিত কাউন্সিলর তথা যাদবপুর ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাসগুপ্ত মহাশয়। পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনে তড়িঘড়ি তাঁকে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করলেন এবং আশীর্বাদ করলেন এলাকার এবং পশ্চিমবঙ্গের নাম উজ্জ্বল করার জন্য । সাথে সাথে এই সুন্দর সৃষ্টিশীল কলা নৃত্য যেন মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করে সেই আশীর্বাদ ও করলেন। তার দপ্তরে তিনি পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় পরিয়ে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করলেন তারই ওয়ার্ডের একরত্রি প্রতিভাবান মেয়েটিকে।

যেখানেই নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে সেখান থেকেই কোনো-না-কোনো প্রাইস নিয়ে বাড়িতে এসেছে অভিলীনা । এমনই প্রায় সংখ্যাতীত মেমেন্টো এবং শংসাপত্র জ্বলজ্বল করছে তাদের আলমারি ও ড্রেসিং টেবিলে। বর্তমানে অধিকাংশ শিশু শিল্পীরা যখন একটু নাচ শিখে হয় ক্যাসেট নৃত্য কিংবা বিভিন্ন প্রোগ্রামে নৃত্য করে দর্শক মন্ডলীর প্রশংসা কুড়াচ্ছে। ঠিক তখনই তবলার তালে তালে ভারতের আদি সাংস্কৃতিক ভারতনাট্যম নৃত্য অধ্যায়ন করে নিজের চাহিদা পূর্ণ করছে ছোট্ট এক রত্তি মেয়েটি।

বাবা সাঁকরাইল থানা অন্তর্গত মানিকপুর আদর্শ বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। মা গৃহ কাজে ব্যস্ত এবং মেয়েকে নিয়ে সারাদিন তার পরিচর্যা ব্যস্ত থাকেন। নৃত্যের সাথে সাথে অভিলীনা ভালোবাসে গল্পের বই পড়তে এবং সময়-অসময় ছবি আঁকতে। আগামী দিনে এই ভারতনাট্যম নৃত্য এবং পড়াশোনা নিয়ে থাকবে এমনই জানালো ছোট্ট অভিলীনা।

মোবাইলের যুগে এখনো ভারতের আদি সাংস্কৃতিক নৃত্য হারিয়ে যায়নি তারই প্রমাণ এই অভিলীনা। বাংলার গর্ব এবং পশ্চিম বাংলার গর্ব এই ছোট্ট এক রত্তি শিল্পীর প্রতিভায়। অভিলীনার এই পুরস্কার আগামী দিনে সংস্কৃত মনোভাবাপন্ন নৃত্যশিল্পীদের উদ্বুদ্ধ করবে এমনই অভিপ্রায় সকলেরই।