নদীর পাড় ভাঙতেই বেরোল প্রাচীন রহস্যময় সুড়ঙ্গের মুখ, সুড়ঙ্গ দেখতে ভিড় নদীর চরে।

0
345

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের মাটি ধসে পড়তেই বেরিয়ে পড়ল রহস্যময় গুপ্ত এক সুড়ঙ্গের মুখ। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে রাজারবাগান এলাকায় এই সুড়ঙ্গর মুখ বেরিয়ে পড়তেই উৎসাহী মানুষের ভিড় আছড়ে পড়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর চরে। ইট ও চুন সুরকিতে বাঁধানো সুড়ঙ্গ আসলে কী তা এখনো পরিস্কার না হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে।

বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে গন্ধেশ্বরী নদী গর্ভ ধরে কিলোমিটার দুয়েক এগোলেই রাজারবাগান এলাকা। একসময় এলাকায় তেমন জনবসতী ছিল না। ঘন জঙ্গলে ঢাকা ওই এলাকায় ছিল ডাকাতদের নিত্য আনাগোনা। বর্তমানে ওই এলাকার কিছুটা দূরে লোক বসবাস শুরু হলেও গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাতায়াত করেন খুব কম মানুষ। দিন কয়েক আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখেন পাড়ের মাটি ধসে যাওয়ায় বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ। স্থানীয় যুবকরাই নিজেরাই ওই সুড়ঙ্গে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন। স্থানীয়দের দাবি সুড়ঙ্গর ভেতরে প্রায় কুড়ি ফুট খোঁড়া হলেও তা শেষ পাওয়া যায়নি। চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট আকারের এই সুড়ঙ্গের চারিদিক পোড়া মাটির ইট ও চুন সুরকি দিয়ে বাঁধানো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি রহস্যময় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের রহস্যভেদ করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে আরো খননকার্য করা হোক।

বাইট ঃ- ধনঞ্জয় চৌবে ( স্থানীয় বাসিন্দা)
বাইট ঃ- বিবেক মুখার্জী ( স্থানীয় বাসিন্দা)